আইসিসি টুর্নামেন্টে ‘রাজা’ ভারত, ‘রানি’ নিউজিল্যান্ড
Published: 8th, March 2025 GMT
দলগুলো ঘুরেফিরে একই। সাম্প্রতিক সময়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে পারফর্ম করা দলগুলোর কথা বলতে গেলে ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার নামই আসে। তবে এদের মধ্যে আবার ভারতের দাপট সবচেয়ে বেশি। আরেকটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগে ২০১১ সাল থেকে হওয়া আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে কোন দল সবচেয়ে ধারাবাহিক, আসুন দেখে নিই।সবচেয়ে বেশি জয়
২০১১ সাল থেকে হওয়া আইসিসির সাদা বলের টুর্নামেন্টে ৮৬ ম্যাচের মধ্যে ৭০টিতেই জিতেছে ভারত। যা এ সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২১টি বেশি। অস্ট্রেলিয়া ৭৭টি ম্যাচের মধ্যে জিতেছে ৪৯টিতে। সমান ৪৫টি করে জয় নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার, এই দুই দলও খেলেছে ৭৭টি ম্যাচ। ৮০ ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয় ৪১টিতে।
নকআউটে নিয়মিত সদস্য: ভারত ও নিউজিল্যান্ড২০১১ সালের পর আইসিসি টুর্নামেন্ট হয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে ভারত শুধু দুবার নকআউট পর্বে পৌঁছাতে পারেনি (২০১২ ও ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ)। ১২ বার নকআউট পর্বে পৌঁছে ভারত চারবার সেমিফাইনালে হেরেছে, পাঁচবার রানার্সআপ হয়েছে এবং শিরোপা জিতেছে তিনবার।
নিউজিল্যান্ডের সাফল্যও এখানে কম নয়। এ সময়ে তারা আটবার নকআউট পর্বে উঠেছে, যার মধ্যে চারবার সেমিফাইনালে হেরেছে এবং তিনবার রানার্সআপ হয়েছে। ২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতে শিরোপা ঘরে তুলেছে কিউইরা। ন্যূনতম সেমিফাইনালে ওঠাকে নকআউট বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
না হেরে নকআউটেকোনো ম্যাচ না হেরে নকআউটে যাওয়া—এ সময়ে ভারতের এমন অর্জন পাঁচবার। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোনো ম্যাচ না হেরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড নকআউটে উঠেছিল কোনো ম্যাচ না হেরেই।
২০১১ সালের পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ৩৮টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে মাত্র তিনটিতে হেরেছে এবং একটিতে টাই। ভারত সর্বশেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হেরেছে ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মানে ৬ বছর আগে। এরপর তারা টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে।
নেতৃত্বে কোহলি-রোহিতভারতের ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার অবদান সবচেয়ে বেশি। কোহলি আইসিসি টুর্নামেন্টে ‘প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়েছেন তিনবার—২০১৪ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে এক আসরেই করেন ৭৬৫ রান, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি আছে ৭টি, যা যেকোনো ব্যাটসম্যানের চেয়ে বেশি। ২০১৯ বিশ্বকাপে তাঁর পাঁচটি সেঞ্চুরি এক আসরে সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বাধিক ৫০টি ছক্কা মারা খেলোয়াড় ভারতীয় অধিনায়ক।
ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের সর্বোচ্চ ২০ উইকেট নিয়েছেন। ২০১৩ আসরের ফাইনালে তিনিই ছিলেন ম্যাচসেরা। এ ছাড়া পেসার মোহাম্মদ শামি ২০২৩ বিশ্বকাপে ২৪টি উইকেট নেন, যা ভারতের হয়ে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।
নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের নায়ক উইলিয়ামসননিউজিল্যান্ডের সাফল্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন কেইন উইলিয়ামসন। আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান তাঁর। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তিনি দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। তাঁর ব্যাটে চড়েই নিউজিল্যান্ড গিয়েছিল ফাইনালে।
মিচেল স্যান্টনার ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ উইকেট নিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তিনি ৪.
ভালো অবদান আছে পেসার ম্যাট হেনরিরও। ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের বিপক্ষে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও তিনি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ৪ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১০টি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল উইক ট ন য় স ফল য আইস স সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।