বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পোড়ানোর প্রতিশোধ নিতে কাফির বাড়িতে অগ্নিসযোগ
Published: 10th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজামান কাফির বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার জাহিদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী শাহাদাত হাওলাদার (২২) ও মাহফুজ মোল্লা (২১)। তাদের মধ্যে শাহাদাত হাওলাদারের বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামে ও মাহফুজ মোল্লার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব টিয়াখালী গ্রামে।
আরো পড়ুন:
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশের হটলাইন সেবা চালু
চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর ওপর হামলা, থানায় মামলা
এসপি আনোয়ার জাহিদ জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা কাফির ফেসবুক পেইজে দেখে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মী।
তিনি জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত দুইজন বরিশাল থেকে বাসে করে আমতলীর বাদুরা আসেন। সেখানে পূর্বপরিচিত একটি দোকান থেকে ৫ লিটার ডিজেল কিনে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল করে কাফির বাড়ির পাশে অবস্থান নেন তারা। পরে সুযোগ বুঝে তারা কাফির ঘরের চাল এবং রান্না ঘরে ডিজেল ছিটিয়ে দেন। এরপরে মাহফুজ ম্যাচের কাঠি দিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে সেখান থেকে সটকে পরেন।
এসপি আনোয়ার জাহিদ জানান, ঘটনার সময় কাফির বাবা, মা, ভাই ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের মধ্যেই ছিলেন। আগুন পুরো ছড়িয়ে পড়ার আগেই দরজা ভেঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হয়ে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে কলাপাড়া থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। গতকাল রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় যৌথ অভিযানে শাহাদাতকে বরিশাল থানা এলাকা থেকে এবং মাহফুজকে পটুয়াখালী সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামে কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান।
কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে সেসময় বলেন, “আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বিচার চাই।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন কল প ড় র কল প
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় গাছ থেকে পড়ে খায়রুল ইসলাম (৫৫) নামে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুধসর গ্রামে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। খায়রুল একই উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মুকাদ্দেস আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খায়রুল আজ সকালে গাছ কাটার জন্য দুধসর গ্রামের হাজরাতলায় যান। বেলা ১১টার দিকে একটি গাছের ডাল কাটার সময় পা পিছলে তিনি নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক খায়রুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে সমাবেশ
দুধসর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, হাজরাতলায় একটি রেইনট্রি গাছ কাটার সময় খায়রুল নামে এক শ্রমিক গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুত্ব আহত হন। সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, গাছ থেকে পড়ে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ