সম্প্রতি একটি অতিকায় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংযুক্তির কারণে দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। বিরল এই কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ শুরু শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃষ্ণগহ্বরটি তার ছায়াপথ ৩সি ১৮৬ থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটে যাচ্ছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা গেছে, ছায়াপথের নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণের সময় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরটি গ্যালাকটিক কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছিল; কিন্তু বর্তমানে কৃষ্ণগহ্বরটি তার আগের অবস্থানে নেই। কৃষ্ণগহ্বরটির এই অবস্থান পরিবর্তন কোনো বড় ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সম্ভবত কোনো গ্যালাকটিক সংঘর্ষ বা সংযুক্তির কারণে এমনটা ঘটছে।

আরও পড়ুনকৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি২০ জানুয়ারি ২০২৫

গভীর অনুসন্ধানের জন্য বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের নির্গত আলো বিশ্লেষণ করতে চিলির টেলিস্কোপ ও হাওয়াইয়ের সুবারু টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বরের অ্যাক্রিশন ডিস্ক থেকে নীল আলো আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। যার অর্থ কৃষ্ণগহ্বরটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে গ্যাস অনেক দুর্বল নীল আলো প্রদর্শন করছে, যার কারণে বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরটি তার অন্যান্য ছায়াপথের তুলনায় বেশি গতিতে ছুটছে।

আরও পড়ুনআকারে বড় কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানীদের নজর এড়িয়ে যায় কেন১৫ জানুয়ারি ২০২৫

বিজ্ঞানীরা জানান, দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বরটি। এর ফলে সেখানে থাকা কেন্দ্রীয় কৃষ্ণগহ্বর একটি বৃহত্তর ছায়াপথে মিশে গেছে। এই সংমিশ্রণের ফলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, যা বাইরের দিকে বিকিরণ শুরু করেছে। বিরল ধরনের এই অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’

জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।

জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুক্রবার ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন ছিল। ছবি:শিল্পকলা একাডেমি

সম্পর্কিত নিবন্ধ