ময়মনসিংহে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
Published: 13th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের মালগুদাম এলাকা থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি গাঙ্গিনারপাড় মোড়-নতুনবাজার হয়ে টাউন হলে মালগুদাম এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল নারী ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট মিছিল বের করলে ময়মনসিংহ নগরের নতুনবাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক আরিফুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখার সহসভাপতি অর্ণব দাস, আনন্দমোহন কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক জুঁই আহত হন।
হামলার প্রতিবাদে আজ বাম গণতান্ত্রিক জোট বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা লাঠিতে পতাকা বেঁধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মালগুদামে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ বাহার মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি এমদাদুল হক মিল্লাত, বাসদের (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক শেখর রায়, বাসদ জোনাল ইনচার্জ ইমাম হোসেন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আবদুর রব মোশাররফ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা গতকাল হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে সারা দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের বিচার ও ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম গণত ন ত র ক জ ট
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।