ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে জয় না পাওয়ায় নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। আগামী ৯ এপ্রিল লাহোরে পর্দা উঠবে বাছাইপর্বের লড়াইয়ের। তবে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন দল মাঠে নামবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন, ১০ এপ্রিল। ওই দিন লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড।

দলের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৩ এপ্রিল, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। দিবারাত্রির ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এরপর ১৫ এপ্রিল একই ভেন্যুতে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৭ এপ্রিল লাহোর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১৯ এপ্রিল স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচও হবে লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে। মূল লড়াইয়ের আগে ৫ ও ৭ এপ্রিল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা।

ছয় দলের অংশগ্রহণে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হবে বাছাইপর্ব। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দুই দল পাবে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার টিকিট। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। তবে পাকিস্তান যদি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়, তাদের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব ছ ইপর ব

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ