মির্জাপুরের কৃতি সন্তান ক্যাপ্টেন মাহমুদ মারা গেছেন
Published: 15th, March 2025 GMT
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ বিমানের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাহমুদ হোসেন শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। শনিবার (১৫ মার্চ) মিরপুর ডিওএইচএস কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে, ৩ ভাই ও ৩ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়, বন্ধু ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরো পড়ুন:
বিমান টিকিটে দুর্বৃত্তপনা, অনুসন্ধান করছে সরকার: স্বরাষ্ট্র সচিব
বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ক্যাপ্টেন মাহমুদ হোসেন ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পিআইএ-তে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েন। ১৯৭২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন এবং তিনি বিমান বাংলাদেশে পাইলট হিসেবে যোগ দেন।২০০৩ সালে তিনি অবসরে যান।
ক্যাপ্টেন মাহমুদের মা মাহমুদা খাতুন ২০১৪ ‘রত্মাগর্ভা মা’ হিসেবে সম্মানীত হন। তার মেঝ ছেলে ড.
ক্যাপ্টেন মাহমুদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। ক্যাপ্টেন মাহমুদের একমাত্র ছেলে শাহরিয়ার মাহমুদ ফরাজী বাংলাদেশ বিমানের একজন পাইলট।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন