চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি এম আলাউদ্দিনসহ শতাধিক নেতাকর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) মতলব কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা পদত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএম আলাউদ্দিন বলেন, “আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমি ছাত্র-জনতার পক্ষে সক্রিয় ছিলাম। এখন পদত্যাগ করে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে যাব। আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে। এজন্য আমি ক্ষমা চাই। এই দোসর দলের রাজনীতি আর করব না।”

পদত্যাগ করা নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- মতলব পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি মহসিন সরকার, নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সার্জেন কাদের, মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি আলমগীর হোসেন, মতলব পৌরসভার ৪, ৭, ৩, ৬, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় পার্টির সভাপতি আজিজুর রহমান স্বপন, বাপন আহমেদ, রায়হান ফরাজি, মনির প্রধান, ইছাক গাজী, মতলব পৌর মহিলা পার্টির সভাপতি কাজল রেখা, মতলব দক্ষিণ উপজেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহানা বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক জোহরা জান্নাত, তাহমিনা আক্তার, মতলব দক্ষিণ যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মানিক, মতলব পৌর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়াসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

আরো পড়ুন:

এবার জাতীয় পার্টি থেকে সাজ্জাদের পদত্যাগ

জাতীয় পার্টির শাফি’র পদত্যাগ

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ মতলব প র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা মারা গেছেন ৭ দিন আগে, আজ বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলেরও

মাত্র সাত দিন আগে বাবা মারা গেছেন। আজ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ছেলে। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলচালক মো. মুরাদ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা সদ্যপ্রয়াত মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি ঢাকার উচ্চ আদালতে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পরিবার, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ছুটিতে মুরাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে আসেন। মুরাদ তখন ঢাকায় ছিলেন। ছুটি শেষে আজ সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের আনতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে বরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ‘জৈনপুর এক্সপ্রেস’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মুরাদ বাসের নিচে চাপা পড়েন। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মুরাদের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ আগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর (মুরাদ) বাবা মারা যান। সপ্তাহ না যেতেই আজ দুর্ঘটনায় মারা গেল মুরাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের দুজন সদস্যের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী-সন্তানদের আর ঢাকায় নেওয়া হলো না তাঁর। এর আগেই সব শেষ।’

মুরাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদপুরে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, যুবকের মৃত্যু
  • মতলবে যৌথবাহিনীর হাতে কিশোর গাংয়ের ৫ সদস্য আটক, উদ্ধার দেশীয় অস্ত্র
  • বাবা মারা গেছেন ৭ দিন আগে, আজ বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলেরও