Samakal:
2025-06-15@22:46:40 GMT

ঘন ঘন হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে

Published: 17th, March 2025 GMT

ঘন ঘন হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে

হাত-পা অবশ বা অনুভূতিহীন হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা যে কারোরই হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটা সাময়িক সময়ের জন্য হয়। কারও আবার ঘন ঘন এ সমস্যা অনুভূত হয়। এমন হলে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া হতে পারে গুরুতর কিছু রোগের পূর্ব লক্ষণ। 
ডায়াবেটিস: অনেক মানুষই ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন। পেরিফেরাল স্নায়ু রোগের এটি একটি সাধারণ কারণ। এর ফলে পায়ের পাতা অবশ হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়, যা আস্তে আস্তে ওপরে ওঠে।
সিস্টেমিক ডিজিজ: এই রোগে শুধু শরীরের একটি অঙ্গই আক্রান্ত হয় না। কিডনি রোগ, ভাস্কুলার ডিজিজ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার বা দুর্ঘটনায় কোনো স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে, তা পুরো শরীরের ওপর এক ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এসব প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ হিসেবে শরীরের কোনো অংশ অবশ হয়ে পড়তে পারে।
মাল্টিপল সেকরোসিস: প্রাথমিক অবস্থায় অবশ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হালকা থাকলেও ঘন ঘন এমন হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন এবং চিকিৎসককে দেখানো উচিত। কারণ এটি মাল্টিপল সেকরোসিসে পরিণত হতে পারে। এ সমস্যার ক্ষেত্রে স্নায়ুতন্ত্রের মায়োলিন সিথ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে ভারসাম্যের ওপর প্রভাব পড়ে, মাথা ঘোরায় এবং ক্লান্তি ভর করে।
পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ: এই রোগে মস্তিষ্ক, বাহু ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গে যে ধমনি রক্ত সরবরাহ করে নিয়ে যায়, তাতে প্লাকের সৃষ্টি হয়। ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফাইবারাস টিস্যু এবং কোলেস্টেরলের কারণে প্লাক গঠিত হয়। চিকিৎসা করা না হলে প্লাক জমে শক্ত হয়ে যায় এবং ধমনির পথকে সরু করে দেয়। এর ফলে পায়ের ওপর প্রভাব পড়ে এবং ওই অংশে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
নিউরালজিয়া: স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে তীব্র ব্যথা এবং জ্বলুনির অনুভূতি হতে দেখা যায়। শরীরের যে কোনো স্থানেই হতে পারে এই রোগ। বিশেষ করে সংক্রমণ এবং বয়সের কারণে হতে পারে এই রোগ।
স্ট্রোক: হৃৎপিণ্ডে যদি পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হয়, তাহলে স্ট্রোক হয়। বিশেষ করে রক্তনালিতে ব্লকেজ হলে এমন হয়। স্ট্রোকের প্রথম লক্ষণ বাঁ হাত অবশ হওয়া, যা হাতের তালু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ করে দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন, ভারসাম্য নষ্ট হয়, কথা বলায় সমস্যা হয় এবং হাত, মুখ ও পা অবশ হয়ে যায়।
[ ভাস্কুলার সার্জন, এনআইসিভিডি]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ভ ত এই র গ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম

ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।

সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।

পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপেয় পানির সংকট, কাজে আসছে না কোটি টাকার প্রকল্প
  • নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
  • সুপারম্যানের কাছে আছে পৃথিবীর শক্তি সংকটের সমাধান
  • ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?
  • ইরান–ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা রূপ নিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে
  • ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি কেন বাড়ছে
  • সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
  • কমেছে সবজির দাম
  • বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম