খামারবাড়ির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি
Published: 18th, March 2025 GMT
রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খামারবাড়ির সামনে দুর্নীতি বিরোধী নাগরিক ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধনে এ দাবি জানান কৃষিবিদসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
তারা বলেন, সম্প্রতি বদলি বাণিজ্যের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড.
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কৃষিবিদরা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর রেজাউল ইসলাম মুকুল, মুহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ এবং এ কে এম হাসিবুল হাসান নামে তিন কর্মকর্তা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বদলি-পদায়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন কৃষি মন্ত্রণণালয় দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার পর সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে বিতর্কিত কর্মকর্তার সিন্ডেকেট। কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি তহবিল যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
কৃষিকে দুর্নীতিমুক্ত করার এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে কৃষিবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কৃষকরা যেখানে সরকারি সহায়তার অপেক্ষায় থাকেন, সেখানে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার লুটে নিচ্ছেন। সরকার যদি কৃষি খাতকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
আনিসুর রহমান নামে এক কৃষিবিদ বলেন, একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলির পর গত বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা করছে। সড়ক অবরোধ করে রোজাদার মানুষ ও রোগীকে কষ্ট দিয়েছে। আতঙ্ক তৈরি করে খামারবাড়িকে অচল করেছে। অথচ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সেই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কৃষিতে এ রকম ঘটনা অতীতে ঘটেনি। এবার শাস্তি না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার ডিএই এর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপপরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মাহবুবুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত করা হয় উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপপরিচলক (আমদানি) মো. মুরাদুল হাসানকে। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর পরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়ির গেটে তালা, বহিরাগতদের দিয়ে সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসূচি দিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন।
অভিযোগ রয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর খামারবাড়ির বিভিন্ন ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলের অনুসারীরা। ডিএইর একাধিক কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এই দুই কর্মকর্তা ও তাদের অনুসারীরা খামারবাড়িতে অনেক অনিয়ম করেছে। বদলি-পদায়ন নিয়ে অনেক বাণিজ্য করেছে। বড় প্রকল্প গুলোর পিডি হতে তারা মরিয়া হয়ে উঠে। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই স্বৈরাচারের দোসর ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা হয়। এক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে কিছু শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: খ ম রব ড় দ র ন ত ব জ কর মকর ত কর মকর ত র খ ম রব ড় র র অন স র র বদল র প উপপর চ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।