অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন সুশীতল বাতাসের নিশ্চয়তায় আধুনিক প্রযুক্তির এসি ‘হায়ার’। গরমের তীব্রতায় অন্যতম ভরসা হলো শক্তিশালী, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্যকর এয়ারকন্ডিশনার। গ্লোবাল নম্বর ওয়ান মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার এবার নিয়ে এসেছে হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স প্রযুক্তি, যা আরও দ্রুত ও শক্তিশালী কুলিং নিশ্চিত করে, পরিবেশ রাখে স্বাস্থ্যকর এবং আপনাকে দেবে সুশীতল আরামদায়ক বাতাসের নিশ্চয়তা।

হায়ার এসির বৈশিষ্ট্য

১.

হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স: নতুন আপগ্রেডেড হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স প্রযুক্তি হায়ার এসির শীতল করার ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। প্রচণ্ড গরমেও এটি দ্রুত ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে সক্ষম, ফলে যেকোনো পরিবেশে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হয়।

২. সুপার আইএফডি এয়ার পিউরিফায়ার: সুপার আইএফডি ফিল্টার বাতাসের পিএম ২.৫ (PM 2.5) ধূলিকণা ও অ্যালার্জেন দূর করে, ফলে ঘরের বাতাস আরও বিশুদ্ধ হয়। এই প্রযুক্তি ধুলাবালি, ধোঁয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান ফিল্টার করে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক।

৩. ইউভিসি-প্রো জেনারেটর: ইউভিসি-প্রো জেনারেটর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে। এটি বিশেষভাবে কার্যকর; কারণ এটি বাতাস বিশুদ্ধ করার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত পরিবেশও তৈরি করে।

৪. সেলফ ক্লিনিং প্রযুক্তি: হায়ার এসির সেলফ ক্লিনিং ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসির ভেতরের ধুলাবালি, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস পরিষ্কার করে। এর ফলে এসির পারফরম্যান্স আরও ভালো হয় এবং দীর্ঘদিন পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করে।

৫. ওয়াই-ফাই স্মার্ট কন্ট্রোল: হায়ার এসির স্মার্ট ওয়াই-ফাই কন্ট্রোল ফিচার আপনাকে যেকোনো স্থান থেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এসি নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয়। ফলে অফিসে বা বাইরে থাকলেও আপনি এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, যা আরামের অভিজ্ঞতা আরও সহজ করে তোলে।

৬. ইনভার্টার প্রযুক্তি: হায়ার ইনভার্টার এসি শক্তিসাশ্রয়ী ও দ্রুত শীতল করার ক্ষমতাসম্পন্ন। এতে রয়েছে স্মার্ট ইনভার্টার কম্প্রেসর, যা দ্রুত কুলিং নিশ্চিত করে এবং বিদ্যুৎসাশ্রয় করে।

৭. ৪-ডি অটো সুইং: হায়ার এসির ফোর-ডি (4-D) এয়ারফ্লো ডিজাইন ঘরের প্রতিটি কোণে সমানভাবে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেয়। ফলে ঘর আরও দ্রুত শীতল হয় এবং দীর্ঘক্ষণ স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে।

৮. সুপার কোয়াইট অপারেশন: ঘুম বা কাজের সময় বাড়তি শব্দ একদমই পছন্দ নয়? হায়ার এসির সুপার কোয়াইট অপারেশন নিশ্চিত করে শব্দহীন কার্যক্ষমতা, যা বিশেষ করে রাতে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।

পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রযুক্তি

হায়ার এসিতে ব্যবহৃত হেপা ফিল্টার ও হাইজিন ফিল্টার ৯৯.৯৮ শতাংশ ধুলাবালি ও অ্যালার্জেন অপসারণ করে। এ ছাড়া এতে ব্যবহৃত আর-থার্টিটু (r-32) রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস পরিবেশবান্ধব, যা ওজোনস্তরের ক্ষতি করে না এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমায়।
নিরাপত্তা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব

হায়ার এসিতে রয়েছে অটো-ডায়াগনোসিস সিস্টেম, যা যেকোনো সমস্যা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে এবং এসির ডিসপ্লেতে ত্রুটির কোড দেখায়। এতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায় এবং এসির স্থায়িত্ব বাড়ে। এ ছাড়া গোল্ড ফিন প্রযুক্তি মরিচা ও ক্ষয় প্রতিরোধ করে, ফলে এসির কার্যক্ষমতা দীর্ঘদিন বজায় থাকে।

বিদ্যুৎসাশ্রয় এবং স্মার্ট এনার্জি কন্ট্রোল

হায়ার ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, যা আপনার মাসিক বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনবে। এতে রয়েছে ইকো মোড, যা প্রয়োজন অনুসারে বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণ করে।

বিক্রয়োত্তর সেবা

হায়ার এসির সঙ্গে থাকছে ১২ বছরের কম্প্রেসর ওয়ারেন্টি, চার বছরের স্পেয়ার পার্টস ওয়ারেন্টি এবং দুই বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি।

গ্লোবাল নম্বর ওয়ান মেজর অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ারের এসি এবার আরও শক্তিশালী হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স প্রযুক্তির মাধ্যমে এনে দিচ্ছে আরও আরামদায়ক শীতলতা।
তাই এখনই কিনুন এবং নিশ্চিত করুন শীতল, স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রফরম য ন স হ য় র এস র স স ব স থ যকর ন শ চ ত কর ইনভ র ট র পর ব শ ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জুয়েল, অর্থাভাবে অনিশ্চিত ভুটান যাত্রা
  • রোনালদোর অদম্য ক্ষুধা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জেতালেন আল-নাসরকে
  • ৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ