হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ: মাঝ আকাশ থেকে ঢাকায় ফিরে এল বিমানের ফ্লাইট
Published: 21st, March 2025 GMT
অগ্নিকাণ্ড ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ায় মাঝ আকাশ থেকে ঢাকায় ফিরে এসেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সিলেট হয়ে লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিজি ২০১ ফ্লাইটটি। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে সেটি আবার ঢাকায় ফিরে আসে।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, বিজি ২০১ ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে সিলেট যায়। বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে হিথ্রোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, পাইলট, ক্রু ও যাত্রীসহ মোট ২৬৭ জনকে নিয়ে ফ্লাইটটি দুপুর পৌনে ২টায় ঢাকায় ফিরে আসে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম সমকালকে বলেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় মাঝ আকাশ থেকে ক্রুসহ ২৬৭ জন যাত্রীসহ ঢাকায় ফেরত আসে বিমানের ফ্লাইট। ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রীদের সরাসরি বিমানের তালিকাভুক্ত হোটেল রাখা হয়েছে।
বিমানের আইন কর্মকর্তা মো.
এ ব্যপারে শাহাজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম জানান, বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে সারাদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। মাঝ আকাশ থেকে ফেরত আসা বিমানের লন্ডগামী ফ্লাইটটি ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, লন্ডন বিমানবন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঢাকা থেকে যাত্রীদের নিয়ে ফের লন্ডনের উদ্দেশে আকাশে উড়াল দিবে বিমানের ফ্লাইট। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মাঝ আকাশ থেকে ঢাকায় ফেরত লন্ডনগামী ফ্লাইটের সব যাত্রীকে হোটেল রাখা হয়েছে। নিরাপদে আছেন যাত্রীরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল ইট ফ ল ইটট ফ ল ইট
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা
কোঝিকোড় দুর্ঘটনা (২০২০)
২০২০ সালের ৭ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে ছিটকে পড়ে এবং দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে ২০জন নিহত হন, আহত হন বহু যাত্রী। খারাপ আবহাওয়া, কম দৃশ্যমানতা এবং টেবলটপ রানওয়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।
ম্যাঙ্গালুরু দুর্ঘটনা (২০১০)২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ ম্যাঙ্গালুরুতে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৬৬ জনের মধ্যে ১৫৮ জন নিহত হন। রানওয়েটি ‘টেবলটপ’ হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা ভয়াবহ হয়। টেবলটপ রানওয়ে হলো এমন একটি বিমানবন্দর রানওয়ে, যা একটি পাহাড় বা উঁচু মালভূমির ওপর অবস্থিত এবং চারপাশে গভীর খাদ বা ঢাল থাকে।
পাটনা দুর্ঘটনা (২০০০)২০০০ সালের ১৭ জুলাই কলকাতা থেকে দিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫৫ যাত্রী ও ভূমিতে থাকা ৫ জনসহ মোট ৬০ জন নিহত হন। অবতরণের সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১২ জুন, ভারত