অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে। তারা এখন কতটা (সংস্কার) চায়, নির্বাচনের পর কতটা চায়, সে সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।

আজ শনিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা। ‘গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ, জাতীয় স্বার্থ ও ঐক্যের পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা।

এরশাদ পতন আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আমি নব্বইয়ের একজন সংগঠক হিসেবে এরশাদের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকে লড়াই করে বিজয় এনেছিলাম। সেই বিজয় ধরে রাখতে পারিনি। আজকের প্রজন্ম যেন সতর্ক থাকে তাদের বিজয় ধরে রাখার জন্য। ৫ আগস্টের ঐক্য ধরে রাখতে হবে, এটা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা।’

‘৩৬ জুলাইয়ের’ ঐক্য না থাকলে কোনো সংস্কার হবে না—এ মন্তব্য করে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আরও বলেন, ‘ঐক্য ধরে রাখতে না পারায় নব্বইয়ে আমরা একটি কাঠামো ধরে রাখতে পারিনি। হাসিনার স্বৈরাচার ফেরত এসেছে। মুজিববাদ ফেরত এসেছে। তাই আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে.

জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামন ফুয়াদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ