সাত শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, তাও ৪ জন ফেল
Published: 10th, July 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলি উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৭ জন শিক্ষক। এখান থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ৫ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৪ জনই ফেল করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে এসএসসির ফলাফল ঘোষণার পর রাইজিংবিডি এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, আলাতুলি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয়া ৫ জনের সবাই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন পাস করলেও বাকিরা ফেল করেছে।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আলাতুলি উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ নিম্নআয়ের। ফলে এখনকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের আয়ের কাজে অংশ নিতে হয়। এ সব কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম থাকায় লেখাপড়ায় ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি রয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
এসএসসির ফল: বরিশাল বোর্ডে শীর্ষে পিরোজপুর জেলা
শাবিপ্রবিতে জুলাই শহীদদের স্মরণে ১ আগস্ট ম্যারাথন
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নওশাদুজ্জামান জানান, এই বিদ্যালয় থেকে এবার ৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছিল। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৩ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে। বাকি ২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এখানে শিক্ষকের সঙ্কট রয়েছে। তাছাড়া এখানকার মেয়েদের বাল্য বিয়ে হয়। ছেলেরা ক্লাসে উপস্থিত হতে চায় না। যার কারণে প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তাদের বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত। ৭ জন শিক্ষক রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক নেই। ফলে বিদ্যালয়ে ইংরেজি পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আগামীতে বিদ্যালয়ে পড়ালেখার বিষয়ে আরো নজর দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁপাইনববাগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা আক্তার জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যেসব বিদ্যালয়ে ফলাফল খারাপ হয়েছে, তাদের পড়ালেখা ও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি মনিটরিং করা হবে। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে আলাদাভাবে শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হবে।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ.
ঢাকা/শিয়াম/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য় ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসির ফল নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বগুড়া জিলা স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে মোট মান ৫০। এর জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষা হয় না। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ, প্রজেক্ট তৈরি, উপস্থাপনা, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়। বাকি ২৫ নম্বর দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আট স্কুলের ৮৮৩ পরীক্ষার্থীর কেউ ২৫ নম্বরের বেশি পাননি। তবে এসব স্কুল থেকে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তারা পুরো ২৫ নম্বর দিয়েছেন।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ২৫ নম্বর কম দেওয়ায় সামগ্রিকভাবে ফল খারাপ হয়েছে। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কেন্দ্র থেকে সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে নম্বর বাদ পড়তে পারে।
আরো পড়ুন:
পরিবারহীন ১২ বন্ধুর এসএসসি জয়
পটুয়াখালীতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
যে আট স্কুলের শিক্ষার্থীরা বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করনোশেন উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, দারুল ইসলাম নৈশ স্কুল ও আলোর মেলা হাই স্কুল।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নম্বরই দেওয়া হয়েছে। এখন বোর্ড থেকে হোক বা আমাদের এখানে হোক কোনোভাবে ভুল হতে পারে। কিন্তু, আমরা কাউকে ইচ্ছে করে নম্বর কম দেইনি। তাহলে সবার কম আসত না।’’
সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল শুক্রবার অফিস বন্ধ। রবিবার আমরা বোর্ডে কথা বলি। তখন কোথায় ভুল হয়েছে দেখে সংশোধন করা যাবে। বিষয়টি অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’’
এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাইজুর রহমান বলেন, ‘‘এ বছর আমাদের স্কুল থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবাইকে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দেওয়া নম্বর যোগ হয়নি। ধারণা করছি, কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব