কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৭৫১, আবেদন শেষ কাল
Published: 23rd, March 2025 GMT
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভোকেশনাল শাখা ও শাখাধীন প্রতিষ্ঠানে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তির আওতায় জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। এ প্রতিষ্ঠানে ১৯ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ৭৫১ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৮০ শব্দ ও বাংলায় ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
২.পদের নাম: লাইব্রেরিয়ান
পদসংখ্যা: ৬৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ লাইব্রেরি সায়েন্সে ডিপ্লোমা থাকতে হবে। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরপদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: হিসাবরক্ষকপদসংখ্যা: ২৮
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম: ইউডিএ কাম অ্যাকাউন্ট্যান্টপদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
৬. পদের নাম: এলডিএ কাম স্টোরকিপারপদসংখ্যা: ১৭
যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৭. পদের নাম: সহকারী কাম স্টোরকিপারপদসংখ্যা: ১১
যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৮. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম স্টোরকিপারপদসংখ্যা: ৪৬
যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৯. পদের নাম: এলডিএ কাম টাইপিস্টপদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১০. পদের নাম: সহকারী কাম টাইপিস্টপদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫৫ ঘণ্টা আগে১১. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটরপদসংখ্যা: ২৭
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১২. পদের নাম: কেয়ারটেকারপদসংখ্যা: ৭৪
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৩. পদের নাম: ড্রাইভার কাম মেকানিকপদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। ড্রাইভারের (ভারী) ক্ষেত্রে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ভারী যানবাহন চালনায় পারদর্শী এবং ড্রাইভারের (হালকা) ক্ষেত্রে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ হালকা যানবাহন চালনায় পারদর্শী হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৪. পদের নাম: এলডিএ কাম ক্যাশিয়ারপদসংখ্যা: ৭৯
যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুননিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে চাকরি, পদ ২৯১ ঘণ্টা আগে১৫. পদের নাম: ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (সপ)পদসংখ্যা: ৭ (জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ৫টি ও ফার্ম মেশিনারি ২টি)
যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এসএসসি (ভোকেশনাল) বা দাখিলসহ (ভোকেশনাল) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা বিজ্ঞানে এইচএসসি বা সমমান পাসসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা; অথবা এসএসসি বা সমমান পাসসহ দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্সে উত্তীর্ণ বা জাতীয় দক্ষতা মান ২ এবং ৩-এ উত্তীর্ণ।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
১৬. পদের নাম: ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (ল্যাব)পদসংখ্যা: ১৫
যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) অথবা সংশ্লিষ্ট ট্রেডে এসএসসি (ভোকেশনাল) বা দাখিলসহ (ভোকেশনাল) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা বিজ্ঞানে এইচএসসি বা সমমান পাসসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা অথবা এসএসসি বা সমমান পাসসহ দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্সে উত্তীর্ণ বা জাতীয় দক্ষতা মান ২ এবং ৩-এ উত্তীর্ণ।
বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)
১৭. পদের নাম: অফিস সহায়ক/নিরাপত্তা প্রহরীপদসংখ্যা: ৪৭
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
আরও পড়ুনবুটেক্সে চাকরি, ৪র্থ থেকে ১৫তম গ্রেডে পদ ২৪৩ ঘণ্টা আগে১৮. পদের নাম: অফিস সহায়কপদসংখ্যা: ৩১৭
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
১৯. পদের নাম: অফিস সহায়ক/গার্ডেনারপদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইটে জানা যাবে। ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ জারিকৃত ১৬৭ নম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইতিমধ্যে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
আবেদন ফিঅনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ১৪ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা; ১৫ থেকে ১৯ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা এবং সব গ্রেডে অনগ্রসর (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ২৪ মার্চ ২০২৫, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুনবিসিআইসিতে বড় নিয়োগ, পদ ৬৮৯২১ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় শ ক ষ য় অন য ন দ ব ত য সমম ন র ড গ র সমম ন প স রপদস খ য গ র ড ১৬ পদ র ন ম দ ই বছর য গ যত ট ল টক সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলে এডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের নবগঠিত এডহক কমিটি শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চার সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়।
এই এডহক কমিটিতে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা এক শিক্ষার্থীর বাবা। অকৃতকার্য শিক্ষার্থী হিসেবে তার সন্তান এ বছর আবারও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে কিভাবে একজন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে এডহক কমিটির সদস্য করা হলো, তা বোধগম্য নয়।
এখানে পুরোপুরি অযৌক্তিকভাবে এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমনকে সদস্য করা হয়েছে। তার উপর সেই শিক্ষার্থী গত বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। তারা মনে করেন, এমন একজন ব্যক্তি কমিটিতে থাকলে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতার অভাব দেখা দিতে পারে।
যেখানে বিদ্যালয়ের উন্নতি ও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য অভিজ্ঞ ও শিক্ষানুরাগী অভিভাবকদের সদস্য করা প্রয়োজন, সেখানে একজন দশম শ্রেণীর ফেল করা শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হতাশাজনক।
অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে এমন ব্যক্তিদের থাকা উচিত যারা শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিবেদিত থাকবেন।
অভিভাবক সদস্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ভবিষ্যৎ পরিচালনা এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে অভিভাবকরা গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে তা পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সারাদেশে পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলো। কিন্তু অবশেষে তার সীমাহীন অনিময়-দুর্নীতির কারণে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পেছনে বিএনপির বড় অবদান রয়েছে বলে বারবার নিজেদের জাহির করা বিএনপি নেতাদের অনেকেই আবার পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির দিকে হাটছে। বিশেষ করে বন্দরের সর্বত্র পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে একটি পরিবার।
তারা হাট, ঘাট, মাঠ, স্ট্যান্ডের মতো করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিজেদের কর্তৃত্ব বহাল রাখতে চাইছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই স্কুল এন্ড কলেজেও নিজেদের লোকদের ধরে এনে এডহক কমিটির অন্তর্ভুক্ত করেছে। অনেকটা যেমন খুশী, তেমন সাজো স্টাইলে যাকে খুশী ধরে এনে বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করছে তারা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সায়মা খানমের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি, ফলে তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অবিলম্বে তারা এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিতে শিক্ষা অফিসার, ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাইয়ুম খান এ বিষয়ে বলেন, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে পারবে না।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এডহক কমিটির সদস্য হতে পারবেনা এমন কোনো নিয়ম নেই।
পরবর্তী ২০২৪ সালে ২৫ এপ্রিল গেজেটে বিষয়টি স্পষ্ট আকারে উল্লেখ করা আছে জানালেন তিনি বলেন, তাহলে আমাকে সেই গেজেটটি পাঠান, আমি দেখি। আপনার কাছে সেই গেজেট নেই? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি এই কর্মকর্তা।