সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর তদন্ত ইতি টানল সিবিআই
Published: 23rd, March 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৫ বছর কেটে গেলেও তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। খুন নাকি আত্মহত্যা এবার সে প্রশ্নের খোলাসা করে দিয়েছে সিবিআই।
শনিবার মুম্বাই আদালতকে এই মামলার অন্তিম রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। জানিয়ে দিয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
প্রাথমিকভাবে, মামলাটি আত্মহত্যা বলেই জানানো হয়েছিল। অন্তিম রিপোর্টেও সিবিআই নিশ্চিত করেছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তদন্তে অন্য কোনো দিক উঠে আসেনি।
সিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, বান্দ্রা আদালতে সিবিআই এই মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তদন্তে আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোনও তথ্য উঠে আসেনি। তবে কী কারণে মামলার নিষ্পত্তি করা হল সেই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি সিবিআই-য়ের ওই কর্মকর্তা।
সিবিআই অন্তিম রিপোর্টের সমস্ত তথ্য ও সাক্ষীদের নাম নথিভুক্ত করেছে। আগামী ৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
সুশান্তের মত্যুর ঠিক সাত দিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল অভিনেতার অফিস সহায়ক দিশা সালিয়ানের। মেয়ের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে সম্প্রতি নতুন করে তদন্ত চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন দিশার বাবা। সতীশের নিশানায় রয়েছেন শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে। অন্যদিকে, সুশান্তের তুতো ভাই নীরজ কুমার সিং বাবলুও নতুন করে তদন্তের দাবি করেছিলেন।
কিন্তু এর মধ্যেই তদন্তে ইতি টানার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে সিবিআই।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।