‘আমার ভাই যেন সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারে’, তামিমকে নিয়ে সাকিব
Published: 24th, March 2025 GMT
জন্মদিনে একটা বাড়তি আনন্দ থাকার কথা সাকিব আল হাসানের। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট কারোরই আজ মন ভালো নেই। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে যে হাসপাতালে ভর্তি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
সাভারের কেপিজে হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন তামিম। এমন অবস্থায় তামিমকে দেখতে যাচ্ছেন তাঁর অনেক সতীর্থই। দেশের বাইরে থাকায় সে সুযোগ নেই সাকিবের।
আরও পড়ুনজ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথাও বলছেন৭ ঘণ্টা আগেতবে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে করা এক পোস্টে সাকিব লিখেছেন, ‘আজ আমার জন্য বিশেষ দিন, কিন্তু মনটা পুরোপুরি আনন্দে নেই, কারণ আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। মাঠে আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি, অনেক স্মৃতি রয়েছে, আর সব সময় চাইব আমাদের এই পথচলা আরও দীর্ঘ হোক।’
এরপর তামিমের উদ্দেশে সাকিব লিখেছেন, ‘তামিম, তুমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় শক্তি। তোমার দ্রুত সুস্থতা ও মাঠে ফিরে আসার জন্য দোয়া করছি। ইনশা আল্লাহ, তুমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।’
আজ বিকেএসপিতে শাইনপুকুরের বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নামেন তামিম। বুকে ব্যথা অনুভব করায় হাসপাতালে যান তিনি। এরপর অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকায় আনা যায়নি। কেপিজে হাসপাতালেই তামিমের হার্টে রিং পরানো হয়।
আরও পড়ুনতামিম ভেবেছিলেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, তারপর যা ঘটল...৭ ঘণ্টা আগে
আপাতত পর্যবেক্ষণে থাকা তামিমের জন্য দোয়া চেয়ে সাকিব লিখেছেন, ‘তামিমের জন্য আপনার দোয়াই হবে আমার জন্মদিনের সেরা উপহার । দোয়া করবেন—আমার ভাই তামিম যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারে!’
পোস্টের নিচে ‘গেটওয়েলসুনতামিম’ হ্যাশট্যাগ জুড়ে দিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।