চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নুরুল ইসলাম তালুকদার (৭০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটার মীরের খিল বাজারে নিজের তেলের দোকানে কুপিয়ে ও হামলায় আহত করা হয় নুরুল ইসলামকে। তিনি সরফভাটা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মীরের খিল গ্রামের ইন্নাল আমিন তালুকদারের বড় ছেলে। পেশায় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম তালুকদার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নুরুল ইসলামের দোকানে হামলা চালান সাত থেকে আটজনের একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাসীরা তাঁকে দোকান থেকে বের করে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করেন এবং কুপিয়ে জখম করে চলে যান। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পরও ভয়ে কেউ দীর্ঘক্ষণ কাছে যাননি। প্রায় আধা ঘণ্টা সড়কে পড়ে থাকার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে সন্ত্রাসীরা নুরুল ইসলাম তালুকদারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন বলে শুনেছি। তবে পারিবারিক বিরোধের বিষয়টিও শোনা যাচ্ছে।’

এদিকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম শিফাতুল মাজদার আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা পাওয়া যায়নি। পরিবার মামলা দিলে পুলিশ নেবে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের কাজ করছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ