যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 28th, March 2025 GMT
দুদকের করা দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভিসি ড. মো. আব্দুস সাত্তারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে এই আদেশ দেন সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড.
যবিপ্রবি’র সাবেক ভিসি ড. মো. আব্দুস সাত্তার ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজন হলেন- যবিপ্রবি’র উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ড. কামাল উদ্দিন।
অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আল আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লেখিতদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন উপাচার্য ড. মো. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও ৩ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি ড. মো. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতাবাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাত করেন।
ঢাকা/রিটন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আবাহনীর ২৪ নাকি মোহামেডানের ১০!
ঢাকার ক্লাব লড়াইয়ে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াই মানেই ভিন্ন আবহ, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ঠাসা। সেটা ক্রিকেট হোক বা ফুটবল। কিংবা হকি। ‘ঢাকা ডার্বি’ বছর টু বছরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। আর সেটা যদি হয় শিরোপার ফয়সালার ম্যাচ…তাহলে তো কথাই নেই। উত্তেজনার স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশেই।
সেই মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের খেলায়। লিগের শিরোপা নির্ধারণী ‘অঘোষিত ফাইনাল’ আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলায় অনুষ্ঠিত হবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের লড়াইয়ে যারা জিতবে তারাই জিতে যাবে শিরোপা। আবাহনী ঢাকা লিগের সবচেয়ে সফল দল। লিগের বর্তমান শিরোপাধারীরা ২৩ বার এই শিরোপা জিতেছে। মোহামেডান জিতেছে নয়বার।
লিগের গত মৌসুমে আবাহনী শিরোপা জিতেছিল। মোহামেডান হয়েছিল রানার্সআপ। এবার কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।
আরো পড়ুন:
অবিলম্বে কার্যকর হবে হৃদয়ের শাস্তি
ইমরানউজ্জামাানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর বড় জয়
মোহামেডান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ শিরোপা জিতেছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে। বিমান বাংলাদেশকে হারিয়ে মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি শিরোপা পেয়েছিল। এরপর দুইবার কেবল রানার্সআপ হয়েছিল। বাকিটা সময়ে শিরোপার কাছেও যেতে পারেনি। লম্বা সময় পর তাদের শিরোপার হাতছানি। সেজন্য আবাহনীকে হারাতেই হবে।
আবাহনী ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। মোহামেডানের পয়েন্ট ২২। শেষ ম্যাচে মোহামেডান শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে ২ পয়েন্ট পায়। ম্যাচটিতে মোহামেডান হেরে গেলে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত এক ম্যাচ আগেই। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখে মোহামেডান।
আগামীকাল মোহামেডান জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে ২৪। লিগের নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে হেড টু হেড হিসেব আসবে। লিগের রাউন্ড রবিন লিগে মোহামেডান আবাহনীকে হারিয়েছিল। সুপার লিগেও তারা জিততে পারলে হেড টু হেডে দুইবারই তারা এগিয়ে থাকবে। তাতে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে সাদা-কালো শিবিরের।
আর আবাহনী ম্যাচটা জিততে পারলে, প্রথম মুখোমুখির প্রতিশোধ নিতে পারলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই তারা জিতে যাবে শিরোপা। তৃতীয় হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের হাতছানি তাদের। এর আগে ২০১৮-২০২০ এবং ২০০৭-২০০৯ মৌসুমে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল