হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন তামিম ইকবাল
Published: 28th, March 2025 GMT
হার্ট অ্যাটাকের কারণে গুরুতর অসুস্থ হওয়া তামিম ইকবাল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর বাসায় ফিরে গেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ডিপিএলের ম্যাচ চলাকালীন ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয় তামিমের। সঙ্গে সঙ্গে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয়, সিপিআর ও ডিসি শক দেওয়ার পর তার হার্টে রিং পরানো হয়। এরপর কেপিজে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রাখা হয় তাকে।
২৬ মার্চ তামিমকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৭ মার্চ চিকিৎসকরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তামিমের অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি সুস্থ আছেন। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হলে তাকে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।
আজ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও তার খেলায় ফেরার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৩-৪ মাস পর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তামিম এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে সক্রিয়। বিপিএলের সর্বশেষ দুই আসরে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জয়ী হয়েছেন তিনি। এবার ডিপিএলে মোহামেডানের হয়ে খেলছিলেন, তবে অসুস্থতার কারণে এই মৌসুমে আর মাঠে ফেরা সম্ভব নয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।