Samakal:
2025-05-01@13:58:35 GMT

সেজার ভ্যালেজোর প্রেমজীবন

Published: 4th, April 2025 GMT

সেজার ভ্যালেজোর প্রেমজীবন

মার্ক্সবাদী আদর্শে গভীরভাবে প্রভাবিত হলেও, ট্রটস্কিবাদ এবং পরে স্ট্যালিনবাদ দ্বারা প্রভাবিত পেরুর সেজার ভ্যালেজো (১৮৯২-১৯৩৮) ছিলেন বিশ শতকের অন্যতম গভীর ও রহস্যময় কবি। তাঁর কবিতা অস্তিত্বের যন্ত্রণা, রাজনৈতিক বিদ্রোহ ও গভীর আবেগে পরিপূর্ণ, যেখানে প্রেম প্রকাশ পেয়েছে অপূর্ণতা, ট্র্যাজেডি এবং অতীন্দ্রিয়তার মিশেলে। ভ্যালেজোর প্রেমজীবন ছিল এক বিস্ময়কর পরিক্রমা–অন্ধ আবেগ, অন্তর্দহন, এবং পরিণতিহীন আকাঙ্ক্ষার এক অনির্বচনীয় সংমিশ্রণ। ভ্যালেজোর শৈশবের প্রেমের আঘাত থেকে শুরু করে প্যারিসের রোমান্টিক সম্পর্ক এবং স্ত্রী জর্জেট ফিলিপার্টের সঙ্গে জটিল দাম্পত্য, হৃদয় অন্তর্লীন ভালোবাসার গল্প তাঁর কবিতার মতোই বেদনাদায়ক ও গভীর।

প্রেম তাই আকাশ ভিশনের মতো–কখনও তা জীবনকে আলোকিত করেছে, আবার কখনও অন্ধকারেও ফেলেছে। তাঁর প্রেমসত্তার অনুভব : ‘Amar, amar intensamente, hasta que duela.

’ (‘ভালোবাসো, গভীরভাবে ভালোবাসো, যতক্ষণ না তা ব্যথা দেয়।’)

সেজার ভ্যালেজো জীবনে একাধিক প্রেমে পড়েছেন। গবেষকদের মতে তাঁর চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেম চিহ্নিত হয়েছে, যা তাঁর ব্যক্তিত্ব, কবিতা এবং দার্শনিক চেতনায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই চারজন প্রেমময় নারী–মারিয়া রোজা, জিয়াভেলিটা (ওতিলিয়া ভিলানুয়েভা), হেনরিয়েট মাইস এবং জর্জেট ফিলিপার্ট–তাঁর হৃদয় ও সাহিত্যকে নির্মাণ ও বিনির্মাণ করেছে।

ভ্যালেজোর প্রথম ভালোবাসা মারিয়া রোজা সান্দোভাল সানচেজ (Maria Rosa Sandoval Sanchez)। তাদের প্রেম যেমন গভীর ও আবেগপূর্ণ ছিল, তেমনি দুঃখময় ও নিয়তির নির্মম খেলায় ক্ষতবিক্ষতও হয়েছিল। তাঁর সাথে পরিচয় অন্যভাবে।

ভ্যালেজোর জন্ম পেরুর সান্তিয়াগো দে চুকোতে, আর মারিয়া রোজা ছিলেন পেরুর ত্রুজিলো শহরের এক সাধারণ পরিবার থেকে আসা অত্যন্ত রূপবতী, সংস্কৃতিমনা এক তরুণী। তাদের প্রেম শুরু হয় যখন তারা ত্রুজিলোর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছিলেন। এই প্রেম চিঠির মাধ্যমে আরও বেশি গভীর হয়ে ওঠে এবং তাঁর কবিতায়ও মারিয়া রোজা প্রথম ও প্রধান অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেন। কিন্তু তাদের এই ভালোবাসা বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেনি।

ভালোবাসার শিল্পে যখন অর্থ এবং অবস্থানের প্রশ্ন ওঠে আসে তখন বেদনাই শিল্পিত হয়। ভ্যালেজো ছিলেন দারিদ্র্যপীড়িত একজন মানুষ। রোজার পরিবার এ সম্পর্ক তাই মেনে নেয়নি, কারণ তারা চাননি তাদের কন্যা একজন দরিদ্র কবির সঙ্গে জীবন কাটাক। পরিবারের বাধার কারণে, তাদের সম্পর্ক গোপন ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। পারিবারিক চাপে রোজাকে একজন ধনী ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়, যা ছিল ভ্যালেজোর জন্য এক হৃদয়বিদারক নির্মম মানসিক আঘাত।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পর ভ্যালেজো ভীষণ একাকিত্ব ও হতাশায় ডুবে যান। প্রেমের এই পরিণতি তাঁকে অস্তিত্ববাদী সংকট ও অন্তর্জ্বালার দিকে ঠেলে দেয়। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘Los Heraldos Negros’ (দ্য ব্ল্যাক হেরাল্ডস, ১৯১৯)-এর অন্যতম প্রধান অনুপ্রেরণা ছিল এই প্রেম ব্যর্থতার। এ বইয়ের প্রথম কবিতাতে পাওয়া যায় তাঁর গভীরতম যন্ত্রণার প্রকাশ–‘Hay golpes en la vida, tan fuertes... Yo no sé.’ (‘জীবনে এমন সব আঘাত আসে, যা সহ্য করা কঠিন... আমি জানি না কেন।’)

মারিয়া রোজার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর, ভ্যালেজোর জীবনে প্রেমের অনুভূতি বদলে যায়। তিনি আর কখনও বিশুদ্ধ প্রেমে বিশ্বাস করতে পারেননি। তাঁর পরবর্তী প্রেমগুলো (হেনরিয়েট মাইস, জিয়াভেলিটা, জর্জেট ফিলিপার্ট) ছিল জটিল ও বহুমাত্রিক, কিন্তু প্রথম প্রেমের মতো আবেগপূর্ণ ছিল না আর কখনও। তাঁর কবিতায় সে স্বরূপ আরও তীব্রভাবে দেখা যায়। রোজার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক টিকে যদি যেত, তবে ভ্যালেজোর কবিতা হয়তো এতো গভীর হতো না। প্রেমের হারানোর মধ্যে তিনি পেয়েছিলেন এক অসীম সৃজনশীল শক্তি, যা তাঁকে বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতে পরিণত করে।

ভ্যালেজোর সবচেয়ে রহস্যময় প্রেম ছিল আরেক তরুণীর সাথে, যাঁকে তিনি কবিতায় ‘জিয়াভেলিটা’ নামে ডাকতেন। গবেষকদের মতে, তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ওতিলিয়া ভিলানুয়েভা (Otilia Villanueva, aka Geavelita)। ভ্যালেজো যখন পেরুর এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষকতা করছিলেন, তখন জিয়াভেলিটার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জিয়াভেলিটা ছিলেন এক উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে, যার কারণে তাঁদের সম্পর্ক সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাছাড়া ভ্যালেজোর বিরুদ্ধে ছিল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এবং তিনি তখন পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন। কিন্তু জিয়াভেলিটা খুবই আবেগপ্রবণ এক তরুণী। ভালোবাসার জন্য, তিনি সমাজের সব নিয়ম ভাঙতে প্রস্তুত ছিলেন।

কিন্তু ১৯২০ সালে, ভ্যালেজো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পেরুর ট্রুজিলোতে গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। এই সময়েই তাঁর প্রেমিকা জিয়াভেলিটা তাঁর জন্য একের পর এক চিঠি লিখতেন, যা ভ্যালেজোর মানসিক স্থিরতা রক্ষা করত। তবে, ভ্যালেজো যখন কারাগার থেকে মুক্তি পান, তখন তাঁর জীবন অন্য এক দিকে মোড় নেয়। তিনি ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেন এবং পরে ফ্রান্সে স্থায়ী হন, যেখানে তাঁর নতুন প্রেম ও বামপন্থি রাজনৈতিক মতাদর্শ গড়ে ওঠে। ফলে, জিয়াভেলিটা ও ভ্যালেজোর প্রেমের সমাপ্তি ঘটে, কিন্তু ভ্যালেজোর মনে ও কবিতায় তাঁর স্মৃতি অমলিন হয়ে রয়ে যায়। তাঁর কবিতায় জিয়াভেলিটার স্মৃতি আজও অমর হয়ে আছে। ‘Te amo con el alma y a veces, con el cuerpo.’ (‘আমি তোমাকে ভালোবাসি আত্মা দিয়ে, আর কখনও কখনও শরীর দিয়ে।’)

ভ্যালেজোর কবিতায় জিয়াভেলিটার উপস্থিতি স্পষ্ট, বিশেষ করে ‘Los Heraldos Negros’ (দ্য ব্ল্যাক হেরাল্ডস, ১৯১৯) এবং ‘Trilce’ (১৯২২)-এ। ‘Trilce’ ভ্যালেজোর অন্যতম বিখ্যাত এবং জটিল কাব্যগ্রন্থ, যেখানে ভাষার চমৎকার খেলায় প্রেম ও বিচ্ছেদের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে এক অনুচ্চারিত যন্ত্রণা রয়েছে, যা প্রেমিকাকে হারানোর বেদনা প্রকাশ করে। একটি বিখ্যাত কবিতায় তিনি লিখেছেন: ‘Dulce amiga, que parte de dolor toca en tu voz y en tu andar?’ (‘প্রিয়তমা বন্ধু, তোমার কণ্ঠ আর চলার মধ্যে কোন বেদনার সুর বাজে?’)

সেজার ভ্যালেজোর ফ্রান্সে আসার পর, তাঁর জীবনে ১৯২৬ সালে হেনরিয়েট মাইস প্রবেশ করেন। এই সম্পর্ক শুধু ব্যক্তিগত সুখের বিষয় ছিল না; বরং এটি সেজার ভ্যালেজোর জন্য ছিল এক নতুন কাব্যিক ও সাংস্কৃতিক জগতের দরজা, যেখানে তিনি ফরাসি বুদ্ধিজীবী চক্রের সঙ্গে অনায়াসেই

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক র কখনও র জন য পর ব র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

নবীজির (সা.) অদ্ভুত দোয়া

নবীজি (সা.) একদিন বিশেষ এক দোয়া করলেন, হে আল্লাহ, ওমর বিন খত্তাব অথবা আবু জাহাল বিন হিশামের মধ্য থেকে যাকে তোমার পছন্দ হয়, তার মাধ্যমে তুমি ইসলামকে শক্তিশালী করো।

দোয়াটা নবীজি (সা.) করেছিলেন নবুওয়াতের ষষ্ঠ বছরে। ছয় বছর ধরে তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন। কালেমার দাওয়াত নিয়ে ঘুরছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি ইসলামের। প্রকাশ্যে নামাজ কিংবা কোরাআন তেলাওয়াতের মতো অনুকূল পরিবেশও এখনো আসেনি মুসলমানদের। উল্টো বেড়েছে নির্যাতন, শারীরিক এবং মানসিক। বেলাল (রা.)-এর গলায় রশি বেঁধে দুষ্ট ছেলেদের হাতে ছেড়ে দেয় তার মনিব উমাইয়া বিন খলফ। যেন ইসলাম গ্রহণের কারণে তিনি মানুষের কাতার থেকে পশুর কাতারে নেমে গেছেন। মরু-দুপুরের প্রখর রোদে বালুর ভেতর চিৎ করে শুইয়ে তার বুকের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় ভারী পাথর। মক্কার প্রভাবশালী ধনী ব্যবসায়ী ওসমান (রা.) ইসলাম গ্রহণের অপরাধে তাকেও সইতে হচ্ছে চাচার অত্যাচার। ইতোমধ্যে ঘটে গেছে ইসলামের ইতিহাসের প্রথম রক্তপাতের ঘটনা। আবু জাহাল লজ্জাস্থানে বর্শা গেঁথে শহিদ করে দিয়েছে সুমাইয়াকে। ইসলামের প্রথম শাহাদাতের গৌরব অর্জন করেছেন একজন নারী। আর তার স্বামী ইয়াসির, তাকেও শহিদ করা হয়েছে অত্যন্ত নির্মমভাবে। সেই বিবরণ দিতে গিয়ে থমকে যায় ইতিহাসের কলম। জল আসে পাষাণের চোখেও। ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহুর দু পায়ে দুটো রশি বেঁধে রশির অপর দুই প্রান্ত বাঁধা হয়েছিল বিপরীতমুখী দুটো উটের সাথে। তারপর ছুটিয়ে দেয়া হয়েছিল সেই উট জোড়া। ইয়াসির আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছেন দ্বিখণ্ডিত শরীর নিয়ে। আর এই শহিদ দম্পতির ছেলে আম্মার, আবু জাহালরা তাকেও শুইয়ে রাখে মরুভূমির তপ্ত বালু আর কংকরের ভেতর, চাপ দিতে থাকে মুহাম্মদের ধর্ম ত্যাগ করার জন্য। আহা! তাদের সেই রক্তের ওপরই নির্মিত হয়েছে আজকের ইসলামের সুরম্য প্রাসাদ।

আরও পড়ুনউত্তম ব্যবহার হৃদয়ের জান্নাত১৮ এপ্রিল ২০২৫

শাগরেদদের এই দুরবস্থার বেদনা সইতে না পেরে নবীজি (সা.)  একদিন ব্যথিত হৃদয়ে উপরের দোয়াটা করলেন। এর কদিন পরই রাদিয়াল্লাহু আনহুতে পরিণত হলেন ইসলামের চরম শত্রু ওমর। ওমর এবং আবু জাহাল তৎকালীন মক্কার প্রবল ক্ষমতাধর, সাহসী দুই ব্যক্তি ছিলেন সন্দেহ নেই। তাই বলে তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন না। মক্কায় তাদের মতো দুঃসাহস ও প্রতিপত্তি আরও অনেকের মধ্যেই ছিল। তবু সবাইকে রেখে এই দুজনের একজনের কবুলিয়াতের দোয়া করাটা নবিজির বিচক্ষণতার সাক্ষর বহন করে। নবীজি (সা.)  দোয়া ওমরের জন্য কবুল হয়েছিল আর তারপরই ইসলাম মক্কায় কোমর সোজা করে দাঁড়ায়। প্রকাশ্যে নামাজ এবং তাওয়াফ শুরু হয়। সাহাবিরা চিৎকার করে মক্কার অলিতে গলিতে কালিমার ধ্বনি ছড়িয়ে দেয়।

ওমর। আহা ওমর। যার নাম বাদ দিয়ে ইসলামের ইতিহাস কল্পনা করা যায় না। যার খেলাফত কাল আমাদের সোনালি অতীত। যার বীরত্ব, সাহসিকতা আর বিজয়ের গল্প আমাদের গৌরবগাথা। খেজুর পাতার প্রাসাদে বসে অর্ধজাহান শাসন করার কৃতিত্ব একমাত্র তারই। এখনো সাম্যের পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখা একজন তরুণের সামনে সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ ওমরের শাসনকাল। ওমর (রা.) না থাকলে হয়তো ইসলামের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো। তাঁর আকাঙ্খার দাম দিতে গিয়ে প্রবর্তিত হয়েছে শরিয়তের অনেক বিধান। ইসলামের অনেক সিদ্ধান্তে তাঁর আর আল্লাহর মতামত মিলে গেছে এক মোহনায়। তাঁর ব্যাপারেই নবীজি (সা.) বলেছেন, যদি আমার পরে কেউ নবী হতো, সে হতো ওমর।

ওমরের (রা.) মাধ্যমে ইসলামের বিজয় ডংকার এই যে বেজে ওঠা দিকে দিকে, তার বীজ কি বপিত ছিল নবীজির (সা.) ওই দোয়ার ভেতরে, ইসলামের শৈশবকালে? আর সবাইকে রেখে নবীজি (সা.)  ঠিক কেন ওমরের জন্যই ব্যাকুল হয়েছিলেন সেদিন? তার দূরদর্শী চোখ কি তবে ওমরের কাফের চোখে জ্বলতে দেখেছিল ইসলামের প্রত্যুজ্জ্বল দীপশিখা?

সূত্র: প্রজ্ঞায় যার উজালা জগৎ

আরও পড়ুনপরিবেশ নিয়ে নবীজি(সা.) এর ১০ শিক্ষা১৯ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীজির (সা.) অদ্ভুত দোয়া
  • মিষ্টি মেয়ের গল্প
  • চেন্নাইয়ের ঘরে বিষাদের বাজনা, ধোনির চোখে বিদায়ের আভা
  • গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা
  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে চান ইয়ামাল
  • জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 
  • নির্মাতার ঘোষণার অপেক্ষায় চিত্রাঙ্গদা
  • শিশুর মাথা ঘামে কেন
  • কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত হাওয়া