ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার দেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সিংহভাগ মানুষ সংস্কারের পক্ষে। দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেশের পুলিশ, প্রশাসন, আইন, বিচার, আর্থিক খাত, নির্বাচন, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ কমিশন তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এগুলোর ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে সব রাজনৈতিক দল ও সমাজের নানা পেশার মানুষের মতামত নিয়ে একটি জুলাই-আগস্ট চার্টার্ড তৈরি করা; পরবর্তীকালে রাজনৈতিক সরকার এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে এবং মেনে চলবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে কখনও প্রকাশ্যে আবার কখনও অপ্রকাশ্যে এবং নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চলমান সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। যেমন সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি করার অধিকার শুধু রাজনৈতিক সরকারের। সুতরাং আগে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো কোনো মহল বলছে, যারা সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত তারা দেশের নাগরিক নন। ফলে তাদের প্রস্তাবকৃত সংস্কার মানা হবে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। দেশের জনগণ তা মানবে না, দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আজ এই লেখায় মূলত আলোচনা করতে চেষ্টা করব রাষ্ট্র সংস্কারের সুফলভোগী মূলত কে বা কারা। একই সঙ্গে দেখতে চেষ্টা করব চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রধান প্রধান অংশীজন কারা এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় কী কী? 


প্রথম কথা হলো, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম এবং প্রধান সুবিধাভোগী এ দেশের সাধারণ জনগণ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে এই সাধারণ জনগণ? সেই জন সাধারণ জনগণ, যারা ক্ষেত-খামারে, অফিসে, শিল্পকারখানায়, জলে ও স্থলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনীর কাজ করেন না। তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে অতিরিক্ত এবং ব্যক্তিগত কোনো সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাশা করেন না। তারা যা প্রত্যাশা করেন তা হলো, তাদের উৎপাদিত ফসল ও শ্রমের ন্যায্য মূল্য, মানুষ হিসেবে যথাযথ সম্মান, নিজস্ব মতামত ও ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার, নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, সন্তানের শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা। 


অন্য যেসব অংশীজন রয়েছে, তার মধ্যে আছে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি, পরিবহন সমিতি, সংঘ, ক্লাব, পেশাজীবী সংগঠন ইত্যাদি। এদের আবার নিজস্ব সুযোগ-সুবিধার আলোকে রাষ্ট্রকে দেখার এবং ব্যবহারের নজির রয়েছে। মূলত রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম বাধাগুলো এখান থেকেই আসছে। প্রথমেই আলোচনা করা যাক, রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিতে তারা কতটুকু রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে? প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব দর্শন ও কর্মপরিকল্পনা থাকে। দলগুলো রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার আগে মুখে মুখে জনগণের কথা বললেও ক্ষমতায় যাওয়ার পর রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হয়ে ওঠেন একেকজন একেকটি এলাকার প্রধান। তাঁর কথাই আইন। তিনি যা বলবেন এলাকার লোক তা মানতে বাধ্য। না মানলে নানা মাত্রায় হামলা, মামলা ও জেল-জুলুম নেমে আসে। অন্তত স্বাধীনতা পরবর্তী বছরগুলো থেকে সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের আগের অভিজ্ঞতার আলোকে এটা নিশ্চিত করে বলাই যায়। মূলত ব্যক্তিগত এবং গোষ্ঠীস্বার্থের কারণে দলগুলো রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার পর তাদের আচরণ জনমতের বিরুদ্ধে যেতে থাকে। অন্যদিকে দলগুলোর ভেতরে আর গণতান্ত্রিক চর্চা না হওয়াও একটি কারণ। 


অন্য যেসব অংশীজন রয়েছে যেমন– বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি বা সংঘ, তারাও সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ব্যবসায়ী স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারি দলের লেবাসে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দলগুলোও তাদের সহযোগিতা করে। কারণ এরাই দলের ফান্ডে যত চাঁদা তার সিংহভাগ সরবরাহ করেন। ফলে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জনগণের পকেট কেটে তা দেশে-বিদেশে পাচার করে আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। রাষ্ট্র সংস্কারের ফলে যদি কেউ বর্তমানে যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন সেগুলো কমে যায় বা প্রশ্নের মুখে পড়ে তাহলে সেই সংস্কারের পক্ষে কেন তিনি দাঁড়াবেন! সুতরাং বাধা এখান থেকেও আসছে– হোক তা প্রকাশ্যে অথবা অপ্রকাশ্যে।

আরও একটি অংশীজন হলো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তারা তো রাষ্ট্রের কর্মচারী। তারা কেন রাষ্ট্র সংস্কারের বিরোধী হবেন? হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। প্রথমত, তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী ও জনগণের করের টাকায় তাদের বেতন-ভাতা হয় এবং তাদের প্রধান কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া– কথাটা তাদের মাথায় নেই। তারা জনগণের সেবক না হয়ে ইতোমধ্যে জনগণের কর্তারূপে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। তাই যেখানে রাষ্ট্রের একজন কর্মচারী হয়ে এ দেশের প্রত্যেক মানুষকে স্যার বলার কথা, কিন্তু ঘটনা ঘটেছে উল্টো; জনগণকেই তারই টাকায় যাঁর বেতন-ভাতা হয়, তাঁকে স্যার বলতে বাধ্য হতে হয়। রাজনীতিতে যেমন জবাবদিহির অভাব ঘটেছে, তেমনি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রও অনেকটা জবাবদিহির বাইরে চলে গেছে। ফলে সমাজে দুর্নীতি বেড়েছে। ভন্ড রাজনীতিক, অসৎ ব্যবসায়ীদের মতো দেশের অর্থ পাচার করে সরকারি কর্মচারীদেরও বিদেশের বেগমপল্লিতে বাড়ি-গাড়ির তথ্য বেরিয়ে আসছে।


এখন রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দেশ থেকে দুর্নীতি কমানো ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। সত্যি সত্যিই যদি রাষ্ট্র সেদিকে অগ্রসর হয়, তাহলে যারা এতদিন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছেন, তাদের সেই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে এবং জবাবদিহির মধ্যে পড়তে হবে। কে চায় তাঁর সোনার সংসারে এমন আগুনের তাপ এসে লাগুক! সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই তারা এসব সংস্কার উদ্যোগে সহযোগিতা করবেন না, এটা পরিষ্কার। ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সেই আলামত দেখাও গিয়েছে। পুলিশ কাজ করছে না ঠিকমতো, প্রশাসনে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সরাকারি নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে না। মোট প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে যে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে, তা প্রশ্নের মুখে পড়বে চলমান সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে। তাই এই সংস্কারে তাদের সহযোগিতা খুব যে পাওয়া যাবে তা আশা করা যায় না।


তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, বিভিন্ন সমিতি, সংঘ, পেশাজীবী সংগঠন সবাই সংগঠিত এবং অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আরামের সাম্রাজ্যে বসবাস করছে। তারা কোনো কালে জনগণের সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিশেষ কিছু করেছেন এমন নজির খুব কম। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগে তারা পরিপূর্ণ সহযোগিতা করবেন এমনটা আশা করা ভুল। সুতরাং এ জাতির সামনে কি কোনো মুক্তির পথ নেই? কেউ কি নেই, যে এ জাতির মুক্তির ত্রাতা হয়ে উঠতে পারেন। হয়তো আছেন অথবা নেই। এর জন্য একটি শক্তিশালী জনগণকেন্দ্রিক রাজনৈতিক শক্তিই পারে এ দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির পথ খুলে দিতে। কিন্তু সেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা দল কোথায়? আপাতত অপেক্ষা ছাড়া ভাগ্যহত এ জাতির সামনে দ্বিতীয় বিকল্প কি দেখা যাচ্ছে?

মো.

সাইফুজ্জামান: শিক্ষাবিষয়ক উন্নয়নকর্মী
shakdip@gmail.com 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত চলম ন স স ক র সরক র র ব যবস য় জনগণ র অ শ জন প রথম দলগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, “দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

বরগুনায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মামুন 

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির 

রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাকে মেনে নেবেন।”

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, “দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।”

বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।”

শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান জানান, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তার দল।

তারেক রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।”

দেশে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক উদাসীনতা প্রকট হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ নিশ্চয়ই সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”

সেজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলসহ বাংলাদেশের সচেতন নারী সমাজকে তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণের সহজে ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব
  • কোনো দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হলে জোট হতে পারে: সারজিস আলম
  • অবিলম্বে গণভোটের দাবি চাকসুর
  • ক্ষমতার লোভে কেউ কেউ ধর্মকে ব্যবহার করছে: আব্দুস সালাম
  • উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
  • ভুল শুধরে জনগণের আস্থা ফেরানোর সুযোগ এই নির্বাচন: আইজিপি
  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম