‘অভিধানের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর শব্দ ট্যারিফ। এটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় শব্দ।’

যুক্তরাষ্ট্রের গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এক অনুষ্ঠানে ট্যারিফ বা শুল্ক শব্দটি নিয়ে এভাবেই নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্যারিফ শব্দটি ট্রাম্পের কত প্রিয়, তা চলতি মাসের শুরুতে বোঝা গেছে। ২ এপ্রিল তিনি যখন বিশ্বের প্রায় সব দেশে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করলেন, তখন সারা দুনিয়ায় এক ধরনের আতঙ্কের ঢেউ বয়ে গেছে। পুঁজিবাজারে নেমেছিল রেকর্ড ধস। যদিও পরে তিনি ৯ এপ্রিল সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন।

কিন্তু কথা হলো ট্রাম্পের প্রিয় ট্যারিফ কোন ভাষার শব্দ? এর উৎপত্তি কোথায়?

সোজাভাবে বলতে গেলে, ট্যারিফ শব্দটি আরবি শব্দ। শব্দটি আরবি থেকে কীভাবে ইউরোপে জনপ্রিয় হলো, তা নিয়ে অন্তত দুটি শক্তিশালী মত আছে।

সাদামাটাভাবে বললে, ট্যারিফ এক ধরনের কর (ট্যাক্স)। কোনো পণ্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে আমদানি-রপ্তানির ওপর এটা আরোপ করা হয়ে থাকে।

একটি বহুল প্রচলিত মত হলো, ইংরেজিতে ট্যারিফ (tariff) শব্দটা এসেছে ফরাসি তারিফ (tarif) থেকে। আবার ফরাসিতে শব্দটি এসেছে ইতালীয় ভাষার তেরিফা (tariffa) শব্দ থেকে।

তেরিফা বলতে দাম বা চার্জের তালিকা বোঝায়। কর বা আমদানি শুল্কের ফর্দ বোঝাতেও শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ইতালি ভাষায় শব্দটা এসেছে ল্যাটিন পরিভাষা তারিফা (tarifa) থেকে, যার অর্থ দাম নির্ধারণ করা।

ধারণা করা হয়, মধ্যযুগে ওসমানি সাম্রাজ্যের তুর্কিদের মাধ্যমে শব্দটি ল্যাটিন ভাষাভাষী জগতে প্রবেশে করে। তুর্কিরা দামের ফর্দ বোঝাতে শব্দটি ব্যবহার করত, যেটি তারা তায়রিফা (ta'rifa) নামক একটি ফারসি ভাষা থেকে পেয়েছিল।

আরও পড়ুনইতিহাসের ভয়ংকর ট্যারিফ যুদ্ধে কে জিতবে, কে হারবে২২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর (ছবিতে নেই) সঙ্গে বৈঠকে। ৭ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ