সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (সিকৃবি) দেশের নয়টি কেন্দ্রে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সিকৃবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৬৬.৪৫ শতাংশ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এ গুচ্ছ পদ্ধতিতে এ ভর্তি পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিকৃবিতে এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। সে হিসাবে সিকৃবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৬৬.

৪৫ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৬ এপ্রিল প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে, পরীক্ষা শুরুর পর বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলিমুল ইসলাম।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার সার্বিক সহযোগিতায় খুবই সুন্দরভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের ন্যায় এ বছরও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের এখানে ১১টি অঞ্চলে ১৩৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, সিকৃবিতে ছয়টি অনুষদে গত বছর  আসন সংখ্যা ছিল ৪৩১টি। সেটা বেড়ে এ বছর ৫৮০টি করা হয়েছে।”

এ বছর নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬ জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০ জন, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫ জন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫ জন।

এছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫ জন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ জন, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯ জন এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ