আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলল রবীন্দ্রনাথ নজরুল লালনের
Published: 15th, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে ৩৮ বিখ্যাত মনীষীর। এর মধ্যে ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন শাহ, মুঘল সম্রাট আকবর, কাঙাল হরিনাথসহ অনেকে। তারা আসল নন ছিলেন ডামি। প্রতীকী হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটে ওঠে বিখ্যাত এসব ব্যক্তির অবিকল চেহারা।
তাদের দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরাও। শোভাযাত্রায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের নানান চিত্রও ফুটিয়ে তোলা হয়। গত সোমবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সোমবার সকালে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। এটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়াম চত্বরে শেষ হয়। সেখানে খাবারের আয়োজনের পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। শিল্পকলা একাডেমির ১২৫ সংগীত ও নৃত্যশিল্পী এতে অংশ নেন।
কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞার ভাষ্য, শোভাযাত্রায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীকে দেখে খুব ভালো লেগেছে। কলেজছাত্র শুভ মোল্লার ভাষ্য, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন।
বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, ‘প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে।’ সম্রাট আকবরের ডামি সাজেন চয়ন শেখ। পান্টি এলাকার মিলন হোসেন সাজেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।
ইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দেখে সবাই মুগ্ধ। ডামি ছাড়াও চিড়া-দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে অনুষ্ঠানে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আনন দ শ ভ য ত র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে বিএনপি নেতা গোলাম আকবরের গাড়িবহরে হামলা, আহত ২০
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আগুন দেওয়া হয়েছে তিনটি মোটরসাইকেলে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সাত্তার ঘাট হালদা সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
হামলার জন্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করেছেন গোলাম আকবর খন্দকার।
আরো পড়ুন:
প্রকাশ্যে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযোগ করবেন না অধ্যাপক তুলসী
মাদারীপুরে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় ৪ বাড়িতে হামলা
এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমি এখনো কিছুই জানি না।”
গোলাম আকবর খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, আজ বিকেল ৪টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাউজান বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলেন তিনি। সাত্তার ঘাটের হালদা সেতু এলাকায় তাদের গাড়িতে হামলা হয়। হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত জিপ ভাঙচুর করে। পাশাপাশি তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তার অভিযোগ, হামলার সময় গাড়ি থেকে নেমে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এসময় তিনিসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। হামলার পেছনে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা জড়িত।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ