কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে ৩৮ বিখ্যাত মনীষীর। এর মধ্যে ছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন শাহ, মুঘল সম্রাট আকবর, কাঙাল হরিনাথসহ অনেকে। তারা আসল নন ছিলেন ডামি। প্রতীকী হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটে ওঠে বিখ্যাত এসব ব্যক্তির অবিকল চেহারা।
তাদের দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরাও। শোভাযাত্রায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের নানান চিত্রও ফুটিয়ে তোলা হয়। গত সোমবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সোমবার সকালে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। এটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়াম চত্বরে শেষ হয়। সেখানে খাবারের আয়োজনের পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। শিল্পকলা একাডেমির ১২৫ সংগীত ও নৃত্যশিল্পী এতে অংশ নেন।
কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞার ভাষ্য, শোভাযাত্রায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীকে দেখে খুব ভালো লেগেছে। কলেজছাত্র শুভ মোল্লার ভাষ্য, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন।
বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, ‘প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে।’ সম্রাট আকবরের ডামি সাজেন চয়ন শেখ। পান্টি এলাকার মিলন হোসেন সাজেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।
ইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দেখে সবাই মুগ্ধ। ডামি ছাড়াও চিড়া-দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে অনুষ্ঠানে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আনন দ শ ভ য ত র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

১০ দিন পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্য শুরু 

ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পূণরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন।

তিনি জানান, কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত টানা ১০ দিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ (১৫ জুন) রবিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম যথারীতি চালু হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 
 
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ দিন স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রবিবার সকাল থেকে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ওসি ফিরোজ কবীর জানান, বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বৈধ পাসপোর্টধারীদের পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

ঢাকা/নাঈম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে ইসরায়েলের হামলা
  • নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ১০ দিন পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্য শুরু 
  • ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক খুলেছে, ভিড় নেই তেমন
  • ছুটি শেষে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে কাল
  • টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ, রবিবার খুলছে সরকারি অফিস
  • আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
  • চেনা রূপে বরিশাল নদীবন্দর, ঈদফেরত যাত্রীদের ভিড়
  • কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল
  • ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ঈদের সেরা চার নাটক