আপনার সন্তান স্কুলে বুলিং থেকে সুরক্ষিত তো?
Published: 16th, April 2025 GMT
আজকাল সন্তানদের নিয়ে ভীষণ সচেতন বাবা-মায়েরা। সব পরীক্ষায় সন্তানদের এ প্লাস নিশ্চিত করতে চান তাঁরা। চান সঠিক পুষ্টি আর সঠিক স্বাস্থ্যে বেড়ে উঠুক তাঁদের সন্তান। মোটকথা সন্তানের ছোট-বড় অনেক অনেক বিষয় নিয়েই আমরা ওয়াকিবহাল। কিন্তু যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সচেতনতা দরকার, সেখানেই অনেকে উদাসীন। আর সেটা হচ্ছে—‘বুলিং।’
অথচ ‘বুলিং’ যুগ যুগ ধরেই আছে, যা দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের একটা কষ্টের জায়গা। বেশির ভাগ শিশু স্কুলে বিভিন্নভাবে বুলিংয়ের শিকার হয়। অথচ আমরা এই বিষয়টিকে সম্ভবত সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিই কিংবা সমস্যাই মনে করি না। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আলোড়ন তুলেছে একটি মিনি সিরিজ। নাম অ্যাডলেসেন্স। ইংল্যান্ডের পটভূমিতে তৈরি সিরিজটি প্রকাশের পর সারা বিশ্বেই বেশ নড়চড়ে বসেছে। যেখানে সাইবার বা সেক্সুয়াল বুলিংয়ের কারণে সহপাঠীকে হত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেয় সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্র জিমি। বুলিং একটা মানুষকে বিশেষ করে শিশু-কিশোরকে কতটা আক্রমণাত্মক করতে পারে, ভেবে দেখেছেন? আজকের আলোচনা তাই স্কুল বুলিং নিয়ে।
স্কুল বুলিং কী?বুলিংয়ের আভিধানিক অর্থ উৎপীড়ন, মাস্তানি, হেনস্তা ইত্যাদি। ইচ্ছাকৃত এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে স্কুলের একজন/একদল শিক্ষার্থী দ্বারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থী বা প্রতিপক্ষের ওপর হিংসাত্মক আচরণই হলো ‘স্কুল বুলিং’। ক্লাসে বা স্কুলে বাকিদের সামনে নিজেদের জাহির করা বা শক্তি প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিমকে হাসির পাত্র হিসেবে উপস্থাপন করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুনপুরোনো বুলিং কেন ভুলতে পারে না মানুষ১৪ মার্চ ২০২৪স্কুল বুলিংয়ের ধরনঅনেকভাবেই হতে পারে স্কুল বুলিং। তবে আমাদের দেশে সাধারণত নিম্নোক্তভাবে বুলিং করা হয়—
১.
গায়ের রং (বিশেষ করে কালো হলে তাকে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করা হতো), উচ্চতা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি নিয়ে নানা রকম অসৌজন্যমূলক কথা বলা।
২. একটু দুর্বল বা অতি ভদ্র বাচ্চাটিকে ধাক্কা দেওয়া, মারা, খোঁচা দেওয়া, থুতু ছিটানো, চশমা-ঘড়ি-টিফিনবক্স ইত্যাদি জিনিস জোর করে নিয়ে যাওয়া, লুকিয়ে রাখা, ভেঙে ফেলা ইত্যাদি।
৩. একটু বড়সড় হলে একঘরে করে রাখা, তার সঙ্গে না মেশা, অন্য সহপাঠীদেরও মিশতে মানা করা। এখানে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের একটা বিষয় কাজ করে।
৪. ক্লাসের ফেসবুক গ্রুপ বা অন্য ভার্চ্যুয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিকটিমের ছবি নিয়ে মজা করা। আপত্তিজনক বার্তা বা ছবি পাঠানো, ক্লাসের মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া, নিয়মিত বাজে কমেন্ট করা ইত্যাদি।
৫. তা ছাড়া একই ক্লাস বা উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের দ্বারা ছোট বা একই ক্লাসের ছাত্রদের অপ্রত্যাশিতভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করা বা করার চেষ্টা করা, ইঙ্গিতবাহী চিহ্ন প্রদর্শন, কয়েকজন মিলে প্যান্ট খুলে দেওয়া, বিভিন্ন আপত্তিকর স্থানে পানি ঢেলে দেওয়া ইত্যাদিও দেখা যায়।
আমাদের দেশে ছেলেদের ক্ষেত্রে শারীরিক বুলিং এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে মৌখিক, আবেগময় ও সাইবার বুলিংয়ের হার বেশি। বিশেষ করে ৯ম-১০ম শ্রেণিতে সাইবার ও সেক্সুয়াল বুলিংই বেশি হয়।
আরও পড়ুনপুরোনো বুলিং কেন ভুলতে পারে না মানুষ১৪ মার্চ ২০২৪বুলিংয়ের পরিণামশিক্ষার্থী ক্রমাগত বুলি হতে হতে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৮ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত আট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন, ২০২৫) ও অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ব্যাংকগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক পিএলসি, এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি, পূবালী ব্যাংক পিএলসি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
নেগেটিভ ইক্যুইটি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার সময় বাড়াল বিএসইসি
৭ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
এর আগে বুধবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৯.২৪) টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৪৪ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১৪.০১) টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৭৪ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২.৩৯ টাকা।
এনআরবি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১.২৯) টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১৩ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১.২৪) টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১৫ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১১.৪৫ টাকা।
এসবিএসি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৫ টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.২৩ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৪ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৪৬ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৩.৭২ টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩২ টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৩৮ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.১৮ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.১৬ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৭.২৬ টাকা।
এক্সিম ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.০৮)। টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৯০ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৩ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.১৪ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১.৮৪ টাকা।
পূবালী ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৩.০২ টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.১৯ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪.৪৪ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৩.৩২ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৪.১৭ টাকা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৪৩ টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.৫০ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২.৪৭ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.৫৯ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২.৩৩ টাকা।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৭৮ টাকা আগের বছর একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৭৬ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৮৩ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৯৮ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১.৪৫ টাকা।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ