চট্টগ্রামে প্রতিবেশীকে অপহরণকারীদের কাছ থেকে রক্ষা করতে এসে উল্টো ফেঁসে গেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বারবার বলার পরও ওই শিক্ষার্থীকে করা হয় মামলার আসামি। যান কারাগারে। গ্রেপ্তার তিন আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। ভুক্তভোগীর পরিবারের ফোন পেয়ে ওই ছাত্র ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলের ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে ধরা হয়েছে।

ছয় দিন কারাভোগের পর জামিন পেয়ে বেরিয়ে এলেও ট্রমায় রয়েছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের এই শিক্ষার্থী। বের হচ্ছেন না বাসা থেকে। শিক্ষার্থীর পাশাপাশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তাঁর পরিবারও। পুলিশের যাচাই-বাছাইয়ে সতর্ক না হওয়ায় তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

৬ মার্চ রাতে নগরের আকবর শাহ থানার প্রভাতি স্কুলের বিপরীতে অবস্থিত বাসা থেকে আবেদীন আল মামুন ও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো.

শহীদুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য পরিচয়ে। পরে আবেদীন আল মামুনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ নগদে আদায় করা হয়, বাকি ১৫ লাখ টাকার চেক লিখে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে নগর পুলিশ পুরো শহরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে ফয়’স লেক চক্ষু হাসপাতালের সামনে আবেদীন আল মামুন ও তাঁর গাড়িচালককে রেখে চলে যান অপহরণকারীরা। এর আগে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, পাহাড়তলী কর্নেল হাট ও আকবর শাহ এলাকায় অপহৃত ব্যক্তিদের ঘোরানো হয়।

ঘটনার শিকার আবেদীন আল মামুন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) তৈরি পোশাক কারখানা প্যাসিফিক জিনসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক। তিনি সীতাকুণ্ড থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এই ঘটনায় তাঁর গাড়িচালক শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাজমুল আবেদীন, নইমুল আমিন, আরাফাত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার বাদী শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এজাহারে আমি শুধু সই করেছি। বাকি সব পুলিশ করেছে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ফোন পেয়ে এসেছিলেন। তিনি জড়িত নন।’

প্রতিবেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণকারীরা আসার পর ফোন করে ডেকে আনা হয় বলে জানান ঘটনার শিকার আবেদীন আল মামুন। তিনি বলেন, ‘অপহরণকারীরা আমাকে যখন বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আমি নিজে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর হাত ধরেছিলাম। তাঁকে আমি নিজেই আমার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম।’

প্রতিবেশীর বিপদে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মামলায় জড়ালেন বলে জানান আবেদীন আল মামুনের স্ত্রী চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আয়শা আক্তার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাসায় আমার স্বামীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে অপহরণ করতে লোকজন এলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে আমি ফোন করি। আমার ফোন পেয়ে তিনি বাসায় আসেন। তিনি অনেক চেষ্টা করেছিলেন আমার স্বামীকে বাঁচাতে। শেষে অপহরণকারীরা যখন আমার স্বামীকে নিয়ে যান, তখন তাঁকেও আমার স্বামী সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ঘটনার সময় কেন পুলিশকে ফোন করেননি, প্রশ্নের উত্তরে আয়শা আক্তার বলেন, ‘অপহরণকারীরা আমার স্বামীকে পুলিশে দিতে চেয়েছিলেন, সেই কারণে আমরাই পুলিশকে ফোন দিতে নিষেধ করেছি। সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধরে থানায় আনার পর আমরা থানায় গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, তিনি নির্দোষ। এরপরও পুলিশ তাঁকে ছাড়েনি।’

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ওপর হামলার অভিযোগের নগরের কোতোয়ালি থানার একটি মামলার আসামি আবেদীন আল মামুন।

৩ আসামির জবানবন্দিতেও নাম নেই শিক্ষার্থীর

আদালত সূত্র জানায়, অপহরণও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি নাজমুল আবেদীন, নইমুল আমিন ও আরাফাত হোসেন ৮ মার্চ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তাঁরা তিনজনই বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর স্ত্রী ফোন করার পর ওই শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁকে তাঁরা কেউ ডাকেননি। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে পরিকল্পনা করে তাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আবেদীন আল মামুনকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও টাকার লোভে পড়ে অপহরণ করেন তাঁরা।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ১২ মার্চ জামিনে মুক্তি পান। আদেশে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক উল্লেখ করেন, তিন আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি অনুযায়ী এই আসামি (বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী) জড়িত নন। এ ছাড়া ভুক্তভোগী, তাঁর স্ত্রী, মামলার বাদীও আদালতে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীকে তাঁরা ডেকে এনেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আকবর শাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ভালো ছেলে হিসেবে জানি।’

ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে ডেকে এনেছেন থানায় গিয়ে বলার পরও কেন আসামি করা হয়েছে জানতে চাইলে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ফুটেজে ছিল তাই ধরা হয়েছে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই কেন করা হয়নি উত্তরে ওসি বলেন, তদন্তে যা হওয়ার হবে।

ট্রমায় শিক্ষার্থী

প্রতিবেশীকে বাঁচাতে এসে মামলায় ফেঁসে গিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বাসা থেকে বের হতে পারি না। মানুষকে মুখ দেখাতে পারি না।’

শিক্ষার্থীর ব্যবসায়ী বাবা বলেন, ‘পুলিশকে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বারবার বলার পরও শোনেনি। প্রতিবেশীর বিপদে এগিয়ে গিয়ে ছেলে আমার নিজেই বিপদে পড়ে গেছে। হয়েছে মামলার আসামি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’

জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) রইছ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হলে মামলা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে বাদ দেওয়া হতে পারে।

আসামি আটকের পর যাচাই-বাছাইয়ে পুলিশকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেলেও কার কী ভূমিকা ছিল, তা দেখার দরকার ছিল পুলিশের।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আকবর শ হ থ ন অপহরণক র র আম র স ব ম ক প রথম আল ক র পর ব র ফ ন কর তদন ত ইসল ম ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

পদ স্থগিত নেতার পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিবৃতি, দ্রুত মুক্তি দাবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর লুটের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। কেন্দ্র থেকে পদ স্থগিত হওয়া একজন নেতার পক্ষে এমন বিবৃতি দেওয়ায় দলের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

গত শনিবার রাতে সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকা থেকে সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। গত ১১ আগস্ট কেন্দ্রীয় বিএনপি চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ দলীয় নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করে।

গতকাল উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মন্নান ও সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সাহাব উদ্দিন বিগত স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রসৈনিক ও মিথ্যা মামলায় নির্যাতিত নেতা। তাঁকে সাদাপাথর লুটের মামলায় মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানোয় উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মন্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি সাহাব উদ্দিনের চাচাতো ভাই। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠে আছি। আমরা তাঁকে ভালোভাবে চিনি। তিনি কোনো লুটপাটে ছিলেন না। বরং লুটপাটের বিরুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বে আমরা মিছিল, মানববন্ধন করেছি। এ তথ্য আমরা মৌখিকভাবে জেলা বিএনপিকেও জানিয়েছি।’

উপজেলা বিএনপির বিবৃতিতে সাহাব উদ্দিনের বিষয়ে ‘মিথ্যা অভিযোগে সদ্য পদ স্থগিত হয়েছে’ বলে দাবি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে জেলা বিএনপির অবস্থান ও কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এমন অবস্থায় উপজেলা বিএনপি কীভাবে ওই নেতার পক্ষে বিবৃতি দেয়, সেটা অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। ব্যক্তির অপকর্মের দায় কেন সংগঠন নেবে? বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৭ মার্চ প্রথম আলোয় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৮ মার্চ সরকারি জমি উদ্ধারে অভিযানে নামে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০ একর জমি উদ্ধার করে এবং ১০০টি পাথর ভাঙার যন্ত্র উচ্ছেদের পাশাপাশি প্রায় ৫০টি টিনশেড ঘর উচ্ছেদ করা হয়।

এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সরকারি জমি দখলের ঘটনায় ১৯ মার্চ সাহাব উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত ১০ এপ্রিল ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে সাহাব উদ্দিন ও তাঁর স্বজনেরা জমি দখল ও লুটপাটে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা সভাপতির নেতৃত্বে এমন অপরাধ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।

সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে ‘সাদাপাথর লুটপাটে অভিযুক্ত অন্যতম মূলহোতা’ হিসেবে উল্লেখ করে। সাদাপাথর লুটের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় গত ১৫ আগস্ট খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার থেকে দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • পদ স্থগিত নেতার পক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিবৃতি, দ্রুত মুক্তি দাবি