১৭ মে আইএসপিএবি নির্বাচন, ১৩ পদে লড়ছেন ২৪ প্রার্থী
Published: 18th, April 2025 GMT
দেশের ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ২০২৫-২৭ মেয়াদকালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হবে ১৭ মে। নির্বাচনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সদস্য শ্রেণি থেকে নয়জন এবং সহযোগী সদস্য শ্রেণি থেকে চারজন করে মোট ১৩ জন নির্বাচিত হবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আইএসপিএবির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার তথ্যমতে, নির্বাচনে সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে নয়টি পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন এডিএন টেলিকম লিমিটেডের মো.
নির্বাচনে সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে ১৪ জন প্রার্থী মূলত দুটি প্যানেলে ভাগ হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ বিষয়ে আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সাধারণ সদস্য শ্রেণির নয় পদের বিপরীতে নয় সদস্যের একটি প্যানেল শিগগিরই ঘোষণা করব। এই প্যানেলের প্রাথমিকভাবে মনোনীত সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম, সাইফুল ইসলাম, রাশেদুর রহমান, মইন উদ্দিন আহমেদ, নাজমুল করিম ভূঁইয়া, মো. নেয়ামুল হক খান, মো. আসাদুজ্জামান, মাহবুব আলম এবং মো. মিঠু হাওলাদার।
নির্বাচনে অপর দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএসপিএবির সাবেক সভাপতি মো.আজহারুল হক চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংগঠনের পরিবর্তনের জন্য আমরা পাঁচ সদস্যের প্যানেল গঠন করেছি। বিজয়ী হলে সংগঠনের সব সদস্যের কল্যাণে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি টেলিকমের নতুন নীতিমালা এবং স্টারলিংক চালুর প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমরা বিটিআরসি ও আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করব। প্যানেলের সদস্যরা হলেন—মো.আজহারুল হক চৌধুরী, মো. ইরফান উদ্দিন, মো. শরিফুল ইসলাম, সাব্বির আহমেদ এবং মো. রেজাউল ইসলাম।
আইএসপিএবির সাধারণ ও সহযোগী সদস্য শ্রেণিতে ভোটার সংখ্যা যথাক্রমে ২৬৩ এবং ৬৯৯। আইএসপিএবি নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ আলী। সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাকিব হোসেন ও মো. এরশাদ হোসেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ল ইসল ম ন টওয আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান
রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।
এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।
২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।
পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে।
ঢাকা/হাসান/ইভা