কক্সবাজার শহরের ছয় নম্বর জেটি ঘাট থেকে মহেশখালী নৌপথে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক (ফেরি) চলাচল শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো এ ফেরি চালু হয়। এ সি-ট্রাক চলাচল শুরু হওয়ার খবরে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে মানুষের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে যাতায়াতের অন্যতম রুটে ১০ কিলোমিটার সমুদ্র পথে ফেরি চলাচলের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। পরে ৫ আগস্টের পর মহেশখালীর মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে এই সি-ট্রাক চলাচল চালু করেছে সরকার। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পন্টুনও। এই সি-ট্রাক নিয়ে একসঙ্গে ২০০-২৫০ কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালীতে যাত্রী যাওয়া আসা করতে পারবে।

মহেশখালীর স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার আমাদের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। এই সি-ট্রাকের বদৌলতে অনেক মানুষের ভোগান্তি কমে আসবে। বিশেষ করে অসুস্থ বৃদ্ধ লোকজন ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে উপকার হবে। 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি-এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন বলেন, আমাদের দ্বীপবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কক্সবাজার মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাক চালু করার। অবশেষে শুক্রবার সে স্বপ্ন ধরা দিয়েছে। এতে দ্বীপের মানুষের দুর্ভোগ কেটে যাবে।

বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, মহেশখালীর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে শুক্রবার থেকে কক্সবাজার মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল শুরু করেছে সরকার। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল শুরু হবে।

মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে সি-ট্রাক ভিড়েছে মহেশখালী জেটি ঘাটে। স্থাপন করা হয়েছে পন্টুন। মহেশখালীর মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসবো।

এদিকে সকাল থেকে জেটিঘাটে ছাত্র জনতার সাথে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ ম শ ক রব র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া