বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পেশাগত মানসিক চাপ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের জন্য বিনামূল্যে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করলো ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। 

‘খোলা জানালা’ নামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ডিআরইউ’র শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে।

ডিআরইউ সদস্য সাংবাদিকরা এখন থেকে প্রতি ১৫ দিন অন্তর সাইকোলজিস্ট ও সাইকিয়াট্রিস্টের মাধ্যমে পেশাদার, গোপনীয় ও সম্মানজনক পরিবেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘মনের বন্ধু’র প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞরা এই সেবা প্রদান করবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো.

সাইদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘অনেক শিশু মাইলস্টোনের পর অস্বাভাবিক আচরণ করছে। সাংবাদিকরাও প্রতিনিয়ত ট্রমায় ভোগেন। আমাদের এইসব জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে। সত্য প্রকাশ ও সহানুভূতির জায়গা তৈরি করতে হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘কাঙ্ক্ষিত দেশ গড়তে সাংবাদিকদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই উদ্যোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে।’’

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের হাঁসের মতো সব দুঃখ-ভয় ঝেড়ে ফেলতে হবে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর ও সহানুভূতিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’’

সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘‘বছরব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে আমরা এই কার্যক্রম চালু করেছি। এর আগে ডিআরইউ সদস্যদের হেপাটাইটিস-বি টিকা, কোভিড-১৯ বুথ, ডায়াবেটিস, কিডনি, গাইনী, লিভার, ডেন্টালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেছি।’’

তিনি আরও জানান, সামনে হেলথ কর্নার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, নারী সদস্য ও শিশুদের জরায়ু ও নিউমোনিয়ার টিকা প্রদানের পরিকল্পনাও রয়েছে।

উদ্যোগটির আহ্বায়ক নাদিয়া শারমিন বলেন, “আমরা সাংবাদিকরা অন্যের কণ্ঠস্বর হই, কিন্তু নিজেদের মানসিক যুদ্ধের কথা চাপা পড়ে যায়। ‘খোলা জানালা’ সেই অন্ধকার দূর করার একটি সাহসী পদক্ষেপ।”

ঢাকা/এএএম//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া

ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।

অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।

এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।

দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।

২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • সানসিল্কের আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
  • গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল: প্রথমবারের মতো বলল জাতিসংঘ
  • ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া