রাজধানীর পথসভায় বক্তারা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি
Published: 19th, April 2025 GMT
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করা ছাড়া আট মাসে এ চুক্তি বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পথসভায় এ কথা বলেছেন বক্তারা।
আজ শনিবার রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে এ সভা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখাসহ সাত দফা দাবিতে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন আন্দোলন নামের সংগঠনটি। এর মধ্যে আছে ছয়টি পথসভা, প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ। এর অংশ হিসেবে সকালে বাহাদুর শাহ পার্কের সভাটি হয়।
আজকের সভায় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের বাস্তব রূপ দিতে হবে। আর এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সরকারের কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা নেই।
সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ২৭ বছরে এই চুক্তির কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি, কোনো ধরনের মৌলিক বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি। যারা চুক্তি করেছিল, তারাও করেনি। এখন যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারাও করছে না।
রুহিন হোসেন বলেন, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পাহাড়িদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশ শেষে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। এ সময় তাঁরা বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বের হয়ে লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার মহানগর দায়রা জজ আদালত, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার এলাকায় সাত দফা কর্মসূচির প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষে আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও প্রচারপত্র বিলির কর্মসূচি নেওয়া হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষ বলছে, সব দলের শাসন দেখা হয়েছে, বাকি শুধু ইসলামি শাসন দেখার: গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বিগত ৫৪ বছরে বিভিন্ন দলের শাসন দেখেছেন। সেখানে জনগণের কাঙ্ক্ষিত কল্যাণ সাধিত হয়নি। বিগত সরকারগুলো হত্যা, লুটপাট, দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের মাধ্যমে দেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। দেশের মানুষ এখন বলতে শুরু করেছে, সব দলের শাসন দেখা হয়েছে, শুধু বাকি রয়েছে ইসলামি শাসন দেখার। তাই তো আমিরে জামায়াত শফিকুর রহমান একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ডাক দিয়েছেন। একটি জনমুখী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। যেখানে লুটপাট-দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ তলাবিহীন ঝুড়ি হবে না, বেকারত্বের অভিশাপ কোনো যুবককে বয়ে বেড়াতে হবে না, সকল বৈষম্য দূর হবে। মানুষ সত্যিকার একটি কল্যাণরাষ্ট্র দেখতে পাবে।’
আজ রোববার সকালে পবিত্র হজ পালন শেষে মিয়া গোলাম পরওয়ার নিজ বাড়িতে আসার পথে খুলনার সিকিরহাট, ফুলতলা বাজার ও শিরোমনি শহীদ মিনার চত্বরে স্থানীয় জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের কথা অনুযায়ী হয়তো আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন হতে পারে। জামায়াতে ইসলামী একটি নির্বাচনমুখী দল। মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক দাড়িপাল্লা ফিরিয়ে দিয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনে দাড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
সকাল ১০টায় ফুলতলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিকিরহাট খেয়াঘাট চত্বরে, সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলতলা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুল আলীম মোল্যার সভাপতিত্বে ফুলতলা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ও খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে শিরোমনি শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত পৃথক পৃথক পথসভা হয়। এসব পথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা অফিস সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, জেলা যুব বিভাগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ফকির প্রমুখ।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মনে করেন, কল্যাণকর ও জনমুখী রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হলে সৎ মানুষের প্রয়োজন। জামায়াত নির্বাচিত হলে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কী কী করা হবে, বক্তব্যে সেসব তিনি তুলে ধরেন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য ছিলেন গোলাম পরওয়ার। বক্তব্যে নিজের সংসদীয় এলাকায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনাও তুলে ধরেন তিনি।