কেউ এসেছেন ‘টাইম পাস’ করতে, কেউ ফিলিস্তিনের টানে
Published: 20th, April 2025 GMT
সবুজে ঘিরে থাকা স্টেডিয়াম। বিপিএল, ওয়ানডে কিংবা টি–টোয়েন্টি হলে থাকে কোলাহলে ভরা। টেস্ট ক্রিকেটে তা নেই, আছে কোকিলের ডাক, পাখিদের কিচিরমিচির আর সকালের স্নিগ্ধতা। এর মধ্যেই সাদা পোশাকে মাঠে দুই দলের ক্রিকেটাররা। ব্যাট ও বলের সংযোগে টুংটাং শব্দ শুরু হয়ে গেছে তখন।
কিন্তু সব ম্যাচ তো আর এক রকম উত্তেজনা কিংবা রোমাঞ্চের নয়। বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্ট তাই শেষ পর্যন্ত দেখাতে হচ্ছে বিটিভিকে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে গ্যালারিতেও দর্শকের সংখ্যাটা কম। নিরাপত্তা কিংবা নানা দায়িত্বের বাইরে শুধুই দর্শকের সংখ্যাটা কত? চাইলে গুণে নেওয়া সম্ভব এমন। কিন্তু তাঁরাই–বা কেন এলেন?
আরও পড়ুনপ্রথম সেশনে বাংলাদেশের সামনে সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন৩ ঘণ্টা আগেকৌতূহল মেটাতে গ্যালারিতে গিয়ে জানা গেল নানা রকম সব গল্প। মেহেদী হাসান নামের কুয়েতপ্রবাসী এক দর্শককে দেখা গেল মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখতে। তাঁর সঙ্গে কেউ নেই, এসেছেন একা। কথায় কথায় জানালেন, কুয়েত থেকে কয়েক মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছেন। এ সময়টা তাঁর কাটছে অবসরে।
স্মৃতি রোমন্থন করে মেহেদী ফিরে গেলেন ২০১৮ সালে। চাচার সঙ্গে সিলেটেই বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্ট দেখেছিলেন তখন। ওই ম্যাচটাতে বাংলাদেশের হারের পর মন খারাপ করে ফিরেছিলেন বাড়িতে। এবার তিনি একাই এসেছেন বাংলাদেশের ম্যাচটা উপভোগ করতে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।