সবুজে ঘিরে থাকা স্টেডিয়াম। বিপিএল, ওয়ানডে কিংবা টি–টোয়েন্টি হলে থাকে কোলাহলে ভরা। টেস্ট ক্রিকেটে তা নেই, আছে কোকিলের ডাক, পাখিদের কিচিরমিচির আর সকালের স্নিগ্ধতা। এর মধ্যেই সাদা পোশাকে মাঠে দুই দলের ক্রিকেটাররা। ব্যাট ও বলের সংযোগে টুংটাং শব্দ শুরু হয়ে গেছে তখন।

কিন্তু সব ম্যাচ তো আর এক রকম উত্তেজনা কিংবা রোমাঞ্চের নয়। বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্ট তাই শেষ পর্যন্ত দেখাতে হচ্ছে বিটিভিকে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে গ্যালারিতেও দর্শকের সংখ্যাটা কম। নিরাপত্তা কিংবা নানা দায়িত্বের বাইরে শুধুই দর্শকের সংখ্যাটা কত? চাইলে গুণে নেওয়া সম্ভব এমন। কিন্তু তাঁরাই–বা কেন এলেন?

আরও পড়ুনপ্রথম সেশনে বাংলাদেশের সামনে সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন৩ ঘণ্টা আগে

কৌতূহল মেটাতে গ্যালারিতে গিয়ে জানা গেল নানা রকম সব গল্প। মেহেদী হাসান নামের কুয়েতপ্রবাসী এক দর্শককে দেখা গেল মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখতে। তাঁর সঙ্গে কেউ নেই, এসেছেন একা। কথায় কথায় জানালেন, কুয়েত থেকে কয়েক মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছেন। এ সময়টা তাঁর কাটছে অবসরে।
স্মৃতি রোমন্থন করে মেহেদী ফিরে গেলেন ২০১৮ সালে। চাচার সঙ্গে সিলেটেই বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্ট দেখেছিলেন তখন। ওই ম্যাচটাতে বাংলাদেশের হারের পর মন খারাপ করে ফিরেছিলেন বাড়িতে। এবার তিনি একাই এসেছেন বাংলাদেশের ম্যাচটা উপভোগ করতে।

সিলেট টেস্টের প্রথম দিন গ্যালারিতে দর্শক নেই বললেই চলে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ