হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি’ গানটি তৈরির গল্প বললেন হাবিব
Published: 21st, April 2025 GMT
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখায়, গানে বৃষ্টি এসেছে নানা সময়ে। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’। সিনেমার হাবিব-কনার গাওয়া ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি’ গান জনপ্রিয়তা পায়। শুধু তখন নয়, ১৭ বছরেও গানটির আবেদন ফুরায়নি। এখনো বৃষ্টির দিনে ফেসবুক রিলস থেকে টিকটকে গানটি দিয়ে ভিডিও বানাতে দেখা যায় অনেককে। আজ সোমবারও এমন দেখা গেছে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা জনপ্রিয় এ বৃষ্টির গানের পেছনের গল্প প্রথম আলোকে জানিয়েছেন গানটির গায়ক, সুরকার ও সংগীতায়োজক হাবিব ওয়াহিদ।
হাবিবকে সিনেমার গল্প আগেই শুনিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। গানটি নিয়ে আলোচনা করতে এ গায়ককে নিজের বাসভবন ধানমন্ডির দখিন হাওয়ায় ডাকেন তিনি। অনেকটা ভয়ে ভয়েই সেখানে যান হাবিব। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা, শুনেই গলা শুকিয়ে যায় যায়। দুজনের আলোচনা শেষে হাবিব চলে আসেন। কিছুদিন পর গান তৈরি করে হুমায়ূন আহমেদকে শোনাতে যান তিনি। গানটি হুমায়ূন আহমেদের খুব পছন্দ হয়। কিন্তু এরপরও যেন ঠিক খুশি হচ্ছিলেন না তিনি। কোথায় যেন একটা গন্ডগোল।
হাবিবও সংশয়ের মধ্যে পড়ে যান, সমস্যাটা কোথায়! হাবিবের কথায়, ‘হুমায়ূন আহমেদ আমাকে বলেন, “হাবিব গানটি আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। কিন্তু বলো তো আমাদের গ্যাপ কোথায়? আমি কি তোমাকে বোঝাতে পারিনি? আমি তো আনন্দের গান চাইনি, স্যাড গান চেয়েছিলাম।” তখন বুঝতে পারি, আমাদের কমিউনিকেশনে একটা গ্যাপ ছিল, এরপর আবার এই স্যাড ভার্সনটা করি। উনি অনেক পছন্দ করেছিলেন। সাবিনা ইয়াসমীনকে দিয়ে গানটির আরেকটি ভার্সন তৈরিও করিয়েছিলেন আমাকে দিয়ে।’
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আরও কাজের কথা থাকলেও শুধু এ একটা কাজই হয়েছে হাবিবের। হাবিব মনে করেন, গানটি হুমায়ূন আহমেদের লেখা বলেই এখনো আবেদন ফুরায়নি। হাবিব বলেন, ‘এই যে এখনো মানুষ গানটাকে আগের মতোই ভালোবাসে, এর মূল কারণ হুমায়ূন আহমেদ। ওনার লেখাগুলো এমনই, টাইমলেস। উনি বেঁচে থাকলে হয়তো আরও কাজ হতো একসঙ্গে, আর আড্ডাও হতো।’
হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। সিনেমাটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় বিদ্যা সিনহা মিমের। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ, জাহিদ হাসান, মেহের আফরোজ শাওন, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ম য় ন আহম দ র ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
আদালতের আদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘হুক্কা’ প্রতীকে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিকে (জাগপা) নিবন্ধন ফিরে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (২ নভেম্বর) ইসি সচিব সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
চবি ছাত্রদলের ৪২০ জনের কমিটিতে নারী মাত্র ১১
জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়া করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল
২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
শর্ত প্রাতপালন না করায় ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নির্বাচন কমিশন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করে।
নিবন্ধন বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সে বছরই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন দলটির সভাপতি তাসমিয়া প্রধান। এ বছর মার্চে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার আদেশ দেয় আদালত।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শফিউল আলম প্রধান মারা যান ২০১৭ সালের ২১ মে। এরপর ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান দলটির সভানেত্রী রেহানা প্রধান। পরে তাদের মেয়ে তাসমিয়া প্রধান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন।
রবিবার ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আরপিও অনুযায়ী জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি নামে দলকে ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর ইসি (নিবন্ধন নম্বর-০৩৬, প্রতীক ‘হুক্কা’) নিবন্ধন দেয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই দলটির নাম সংশোধন করে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা’ নামে সংশোধিত সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
ইসি ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। পরে বিষয়টি নিয়ে দায়ের করা হয় রিট পিটিশন (নম্বর-৭৭৭৬/২০২১)। এই মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ রায় রায়ে ইসির ২০২১ সালের প্রজ্ঞাপনটি একপেশে ঘোষণা করে।
হাইকোর্টের ওই রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ২০২১ সালের নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করেছে এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার নিবন্ধন ‘হুক্কা’ দলীয় প্রতীকসহ পুনর্বহাল করেছে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ