এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে নির্দেশনা
Published: 21st, April 2025 GMT
দেশের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপর রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের পক্ষ থেকে এক পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, যাতে এসির তাপমাত্রা কমানোর মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার (২১ এপ্রিল) একটি সার্কুলার জারি করে জানায়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৫° সেলসিয়াসে রাখার সিদ্ধান্তটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার অনুসরণে নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি সামনের গ্রীষ্মকাল, রমজান ও সেচ মৌসুমের বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে অফিস ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ফলে সরকারের সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্যে আর্থিক খাতের সহযোগিতা নিশ্চিত হবে, যা দেশের বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগটি শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নয়, বরং সব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নের জন্য আগেই অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর থ ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শিল্পে নয়, লড়াই ফেসবুকে: ঢালিউড নায়িকাদের যুদ্ধ
নায়িকারা রূপালি পর্দায় থাকেন রোমাঞ্চ ও সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে। অথচ তাদের বাস্তব জীবনে আড়ালে চলে—অসন্তোষ, দোষারোপ আর প্রতিযোগিতার লড়াই। ঢাকাই সিনেমার ইতিহাস ঘাঁটলে এমন বহু প্রমাণ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর প্রকাশ্য বিবাদ আবারো সামনে এনেছে পুরোনো সেই প্রশ্ন—কেন বারবার নায়িকাদের দ্বন্দ্বে ইন্ডাস্ট্রি মুখর হয়ে ওঠে?
৮০–৯০-এর দশকে শাবানা-চম্পা কিংবা ডলি জহুর-রোজিনার মধ্যে সরাসরি বিবাদ না থাকলেও কে ‘প্রথম নায়িকা’ বা কে বেশি পারিশ্রমিক পান, তা নিয়ে চলত চাপা প্রতিযোগিতা। ২০০০ সালের দিকে মৌসুমী-শাবনূর বা শাবনূর-পূর্ণিমার মধ্যেও ছিল আলোচিত গুঞ্জন ও দ্বন্দ্ব।
আরো পড়ুন:
প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
একবিংশ শতকে এসে অপু-বুবলীর মতামত, পোস্ট ও পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া—সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান। অন্যদিকে পরীমণি ও মিমকে কেন্দ্র করে শরিফুল রাজের নাম জড়িয়ে যে উত্তাপ ছড়ায়, তা কোনো গুজব ছিল না।
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে একে অন্যকে পরোক্ষভাবে আক্রমণ করার উদাহরণ নতুন নয়। পরীমণি ও বুবলীর মধ্যেও দেখা গেছে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। এছাড়া তমা মির্জা–মিষ্টি জান্নাত কিংবা অধরা খান–জাহারা মিতুর দ্বন্দ্বের খবরও চাউর হয়েছে।
এই চিত্র কেবল ঢালিউডে সীমাবদ্ধ নয়। বলিউডে রেখা-জয়ার ঠান্ডা যুদ্ধ, ক্যাটরিনা-দীপিকা, কঙ্গনা-তাপসী কিংবা ঐশ্বরিয়া-ক্যাটরিনা—সবখানেই নায়িকা বনাম নায়িকার চাপা সংঘাত। টলিউডেও শ্রাবন্তী-পায়েল, কোয়েল-রচনা, সায়ন্তিকা-নুসরাত দ্বন্দ্ব মিডিয়ায় ঘুরেছে বহুবার।
তবে আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রিগুলো এসব সামলাতে ব্যবহার করে পেশাদার পিআর টিম। ঢাকাই সিনেমায় সেই কাঠামোর ঘাটতি স্পষ্ট। ফলে ব্যক্তিগত রেষারেষি প্রায়ই শিল্পের জায়গা দখল করে নেয়।
এসব কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক ভাবমূর্তির। নির্মাতারা পড়েন দোটানায়—কাকে নেবেন, কার বিরুদ্ধে গেলে ‘ব্যান’ হতে হবে। প্রযোজকরা ভয় পান দ্বন্দ্ব যেন প্রমোশন বা শুটিং ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আর দর্শক? তারা ভক্তির জায়গা থেকে সরে গিয়ে অপছন্দ করতে শুরু করেন। এসব নায়িকাদের সিনেমার নাম না জানলেও, ব্যক্তিজীবনের রগরগে গল্প দর্শকরা মুখস্ত রাখেন।
নায়িকাদের এই প্রতিযোগিতা যদি শিল্পের উৎকর্ষে হতো, তবে তা কল্যাণকর হতো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে উঠেছে ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে জবাব-প্রতিজবাব, খোঁচা আর মুঠোফোনে দেওয়া গসিপের লড়াই।
এভাবে চলতে থাকলে শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, শিল্পজীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এখন সময় এসেছে প্রশ্ন তোলার—নায়িকারা কী নিজেদের মধ্যে লড়াই থামিয়ে একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে শিখবেন না?
ঢাকা/রাহাত/শান্ত