Samakal:
2025-11-03@19:36:44 GMT

আশ্বাসেই ঝুলছে বগা সেতু

Published: 24th, April 2025 GMT

আশ্বাসেই ঝুলছে বগা সেতু

পটুয়াখালীর বাউফলের লোহালিয়া নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তিন উপজেলার মানুষকে। দুমকী-বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি সেতু নির্মাণে কয়েক দশক ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বগা নামক স্থানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। 

জানা গেছে, কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়কের লেবুখালী থেকে দুমকী-বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা সদর পর্যন্ত প্রায় ৮৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে। মাঝপথে বাউফলের বগা ইউনিয়নের লোহালিয়া নদী। ওই আঞ্চলিক মহাসড়কের ১১ কিলোমিটারে লোহালিয়া নদীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরি রয়েছে। প্রতিদিন ফেরিতে পণ্যবাহী শত শত ট্রাক,  কাভার্ডভ্যান, যাত্রীবাহী বাস, তিন উপজেলার রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স নদী পার হয়। এসব যানবাহন ও যাত্রীদের নদী পারাপার হতে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। অনেক সময় ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। লোহালিয়া নদীতে সেতুটি নির্মিত হলে জেলা সদর থেকে দুমকী উপজেলা হয়ে বাউফল, দশমিনা উপজেলা ছাড়াও গলাচিপা উপজেলা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। 

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ অর্থনৈতিক সূচকে সমৃদ্ধ এক জনপদ বাউফল। এই একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন পটুয়াখালী-২। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সড়কপথে বাউফলে এলে লোহালিয়া নদী পেরিয়ে আসতে হয়ে। এ ছাড়া দুমকী, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে বগা ফেরিঘাট হয়ে জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে হয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে এই আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও উপজেলাবাসীর প্রধান দাবি বগা সেতু নির্মাণ হয়নি। 

পটুয়াখালী-বগা-বাউফল সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ট্রাকচালক খলিলুর রহমান বলেন, ‘ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। এর থেকে বড় বড় নদীতেও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। লোহালিয়া নদীতে ফেরি পার হতে গাড়িচালকদের যেমন সময় নষ্ট হয়, তেমনি পরিবহন ভাড়াও বেশি দিতে হয়। এ ছাড়া অনেক সময় নির্ধারিত সময়ে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।’

বাউফলের বগা বন্দরের ব্যবসায়ী সমির বণিক বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগে রাজধানী ঢাকা থেকে লঞ্চে মালপত্র পরিবহন করতেন। এতে করে বগা লঞ্চ ঘাটে মালপত্র নামিয়ে আবার ছোট ছোট পরিবহনে বন্দরে নিয়ে আসতে অনেক খরচ  পড়ে। পদ্মা সেতুসহ দক্ষিণাঞ্চলে অনেক সেতু নির্মাণ হওয়ায়  পরবর্তী সময়ে সড়ক পথে ট্রাকে মালপত্র পরিবহন বেড়ে যায়। এখনও লোহালিয়া নদীতে ফেরি নিয়ে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বগা সেতুটি নির্মাণ হলে সড়ক পথে সরাসরি মালপত্র বন্দরে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। অবিলম্বে বগা সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি। 

বাউফলের এনামুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান খান বলেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সড়ক পথে যাতায়াতে তিন উপজেলার মানুষের বড় দুর্ভোগ বগা ফেরি পারাপার। বগা ফেরিঘাটে সেতু নির্মাণ হলে জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে বাউফলসহ তিন উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে কয়েক লাখ মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন ও স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে। 

স্থানীয় কৃষক আরোজ আলী বলেন, লোহালিয় নদীতে বগা সেতু নির্মাণ হলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের পণ্য জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে লাভবান হতে পারবে। 

বাউফল শাখা পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজার টি এম মনিরুজ্জামান বলেন, লোহালিয়া নদীর ওপর বগা সেতুটি নির্মিত হলে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার দুটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, জেলা সদর থেকে ফেরিতে ব্যাংকের টাকা নিয়ে আসতে তাদের প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এতে আমানতকারীরা ব্যাংক সম্পর্কে খারাপ ধারণা করেন এবং তাদের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। 

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

জামিল আক্তার জানান, লোহালিয়া নদীতে বগা সেতু নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের মার্চ মাসে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ইতোমধ্যে সেতুর ফিজিবিলিটি স্টাডিও শেষ  হয়েছে। এখন জমি অধিগ্রহণ এবং এতে কী পরিমাণ অর্থ খরচ হবে, সে বিষয়ে প্রাক্কলন তৈরি করা হচ্ছে। এটি শেষ হলে দ্রুত ডিপিপি প্রণয়ন করে সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ন উপজ ল র ম লপত র ব উফল র পর বহন ব যবস দশম ন

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্ক ছাড়িয়ে জাতীয় মুখ মামদানি

ডেমোক্র্যাট ভোটার লিয়া অ্যাশ বহু বছর ধরে কোনো রাজনীতিককে নিয়ে আশাবাদী অনুভব করেননি। তবে সম্প্রতি সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমার জন্য তিনিই একমাত্র আলোর দিশা। তিনি সত্যিই মানুষের কথা শুনতে চান—যাঁদের তিনি মেয়র হতে যাচ্ছেন।’

২৬ বছর বয়সী অ্যাশ যে ব্যক্তির কথা বলছেন, তিনি হলেন জোহরান মামদানি, যিনি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী।

মামদানি তাঁর নির্বাচনী প্রচারে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এ কারণেই অ্যাশ নিঃসংকোচে মামদানিকে ভোট দিতে চান। তবে তিনি মামদানিকে ভোট দিতে পারছেন না। কারণ, তিনি থাকেন নিউইয়র্ক থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে, মিসিসিপির গালফপোর্ট শহরে।

অ্যাশ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই, কোনো একদিন গালফপোর্ট, মিসিসিপিতেও এক জোহরান মামদানি আসবেন।’

জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত মুখ

মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ৩৪ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট মামদানি এক প্রান্তিক প্রার্থী থেকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচিত মুখে পরিণত হয়েছেন। গত জুন মাসের দলীয় নির্বাচনে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ভোটার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি।

আগামীকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে মেয়র নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের সব জরিপেই দেখা গেছে, নিউইয়র্ক শহরের সাবেক মেয়র অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মামদানি এগিয়ে রয়েছেন। মামদানি আশা করছেন, আগেরবারের মতো এবারও তরুণ ভোটাররা তাঁর পাশে থাকবেন। তবে শুধু নিউইয়র্কের মধ্যেই নয়, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মোকাবিলার তাঁর অঙ্গীকার পুরো দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। অনেক জেন–জি ও মিলেনিয়ালস প্রজন্মের মানুষ বলছেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গায় হাত রেখেছেন মামদানি। তরুণ প্রজন্ম যখন রাজনীতিকদের প্রতি আশা হারিয়ে ফেলেছেন এবং প্রচলিত নিয়ম ভেঙে নতুন কণ্ঠস্বরের অপেক্ষায় আছেন, তখনই মামদানির উত্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সার্কেলে তরুণ ভোটারদের নিয়ে গবেষণা করেন রুবি বেল বুথ। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো প্রার্থী জনগণের উদ্বেগ নিয়ে কথা বলেন এবং সেই উদ্বেগকে স্বীকৃতি দেন, তখন সেটি বিশাল প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের ক্ষেত্রে।’

রুবি বেল বুথ আরও বলেন, ‘তরুণেরা যখন সত্যিই অনুভব করেন যে তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে, তাঁদের প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে, তখন যেকোনো প্রার্থী সফল হতে পারেন। তবে এখন সেটি করছেন মামদানি। আর এর আগে হয়তো সেটা করেছিলেন ট্রাম্প।’

রক্ষণশীলদের মধ্যেও জনপ্রিয়

রক্ষণশীল রাজ্য মিসিসিপিতে বসবাস করলেও লিয়া অ্যাশ সব সময়ই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের ভোট দিয়ে আসছেন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হতাশ ও উপেক্ষিত বোধ করছেন। এই অনুভূতি আরও তীব্র হয়েছে তাঁর অর্থনৈতিক বাস্তবতা থেকে। অন্যদিকে অ্যান্ড্রু টেইট ভার্জিনিয়ার এক গ্রামীণ এলাকায় একটি ছোট খামারে তাঁর সঙ্গী ও সন্তানদের নিয়ে থাকেন এবং স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। তিনিও মূল্যস্ফীতি ও পরিবারের আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
অ্যাশ বলেন, ‘দেশের অন্যতম দরিদ্র রাজ্য হয়েও মিসিসিপিতে বাড়ির দাম বেড়েই চলেছে। এটা সত্যিই মন খারাপ করে দেয়।’ তবু অ্যাশ আশা করছেন, যদি মামদানি নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে সেটি দেশের অন্যান্য শহরের ডেমোক্র্যাট নেতাদের জন্য একটি বার্তা হয়ে যাবে।

জোহরান মামদানি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় একাধিক অঙ্গীকার করেছেন, বিশেষ করে বাসস্থান নিয়ে। তাঁর লক্ষ্য শহরের খরচ কমানো। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয়। আর রক্ষণশীলদের, বিশেষ করে ট্রাম্পের সমর্থকদের কাছে মামদানির দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক। তবু এসব সতর্কতা তরুণ মার্কিন ভোটারদের খুব একটা বিচলিত করছে না। তাঁরা রাজনৈতিক দলের লেবেলের পরিবর্তে মামদানির বাস্তব জীবনের সমস্যা ও সমাধানমুখী বার্তাতেই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন।

গবেষক বেলি বুথ বলেন, ‘মামদানিই এমন একজন প্রার্থী, যিনি প্রচলিত ব্যবস্থাকে নানা দিক থেকে চ্যালেঞ্জ করছেন।’

২৬ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট এমিলি উইলসনের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকট দলীয় বিভাজনের ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসরত এমিলি দূর থেকেই মামদানিকে সমর্থন করছেন। মিশিগানের অ্যান আরবারের কাছে এক ছোট শহরে বসবাসরত ২৫ বছর বয়সী ডেইজি লুপাও একইভাবে ভাবেন। তাঁর মতে, মামদানির প্রচারাভিযানটা নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছে। তাঁর অনেক প্রস্তাব গ্রামীণ আমেরিকাসহ নিজ সম্প্রদায়ের জন্যও কার্যকর হতে পারে। লুপা বলেন, ‘নিউইয়র্কে তিনি যেসব পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন, সেগুলোর অনেকটাই আমরা গ্রামীণ এলাকায় আরও বেশি করে চাই। কারণ, এখানে তো সেগুলোর অস্তিত্বই নেই।’
সতর্ক আশাবাদ

আরও পড়ুননিউইয়র্কের এত ইহুদি কেন জোহরান মামদানির পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন০১ নভেম্বর ২০২৫

তবে যাঁরা নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন, তাঁদের কাছে মূল প্রশ্ন—মামদানি কি সত্যিই জীবনযাত্রার ব্যয়ের এই সংকট কাটাতে পারবেন? ৩২ বছর বয়সী ডিলন রবার্টসনের জন্য অর্থনৈতিক উদ্বেগ যেন জীবনের স্থায়ী সঙ্গী।  স্নাতক শেষে তাঁর শিক্ষাঋণ দাঁড়াবে প্রায় আড়াই লাখ ডলার। মামদানিকে সমর্থন করছেন রবার্টসন।

কারণ, তাঁর প্রস্তাবিত ব্যয় সাশ্রয়ী পরিকল্পনাগুলো জীবনকে কিছুটা সহজ করতে পারে। তবে একই সঙ্গে তিনি সংশয়ও প্রকাশ করেন। ডিলন বলেন, ‘মামদানি যা বলছেন, সবই শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু আমি ভাবি, তিনি কি সত্যিই পারবেন? বাস্তবে কি তা সম্ভব? নাকি এটা যেন ফুটো জাহাজে শুধু ব্যান্ডেজ লাগানোর মতো?’
তবু ডিলন স্বীকার করেন. যদি বিকল্প হয়, আগের মতোই টেনে নেওয়া অথবা কিছু নতুন চেষ্টা করা, তাহলে তিনি নতুনটাকেই সুযোগ দিতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ