ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের পর ছাত্রলীগ-আ.লীগের ১১ জন গ্রেপ্তার
Published: 24th, April 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের ১১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ও আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বংশাল থানা ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি আসাদুল্লাহ শিপলু (৪৫), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাকিল আহমেদ (৫৬), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আসলাম চৌধুরী (২৪), যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোবাশ্বের রহমান (৫৫), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কুশঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন (৫৪), সাবেক মেয়র ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন শেখ (৬২)।
আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর থেকে মো. বাবুলকে, রাত ২টার দিকে মোহাম্মদপুর চন্দ্রিমা মডেল টাউন থেকে মো. শাহজালালকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম বিভাগের পৃথক দল। এর আগে রাত পৌনে দুইটার দিকে শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে মো. রেজাউল করিমকে ডিবি মিরপুর বিভাগের একটি দল গ্রেপ্তার করে।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেন শেখকে গ্রেপ্তার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের একটি দল। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে আসাদুল্লাহ শিপলুকে এবং মতিঝিল থেকে শাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের পৃথক দল।
এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোবাশ্বের রহমানকে ও রাত একটার দিকে শান্তিনগর এলাকা থেকে আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের পৃথক দল।
এ ছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লালবাগ এলাকা থেকে রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি রমনা বিভাগ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিল এলাকা থেকে হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মতিঝিল বিভাগ। একই সময়ে পৃথক অভিযানে বাড্ডা এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী গ্রেপ্তার হন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব র রহম ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির দুই নেতাকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁদাবাজি, দখলদারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নান লস্কর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। এর মধ্যে মতলব উত্তরের আবদুল মান্নান লস্করকে চাঁদাবাজির মামলায় গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবদুল মান্নান লস্কর ও আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইমাম হোসেন গাজীকেও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদের (মানিক) মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ ব্যাপারে চিঠি এখনো পাননি। যেকোনো বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটি অন্যান্য নেতার জন্যও একটি বার্তা ও শিক্ষা।