ভারতশাসিত কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পুলিশ পহেলগাম হামলার সঙ্গে জড়িত চার বন্দুকধারীর মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করে এক নোটিশ জারি করেছে। নোটিশে বলা হয়েছে, তিনজনের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক। বাকি আরেকজন অনন্তনাগের স্থানীয় বাসিন্দা। তবে এই নোটিশে চতুর্থ সন্দেহভাজনের বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। খবর-বিবিসি

পুলিশ বলছে, এই তিনজন পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য। যদিও এই অভিযোগের বিষয়ে এখনও তাদের কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। পাকিস্তান এরই মধ্যে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এছাড়া হামলায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশ্মীরের ১৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য পুলিশ ২০ লাখ রুপি পুরষ্কার ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানিয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাহত ২ পুলিশ সদস্য

বগুড়ায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামিপক্ষের লোকজনের হামলায় পুলিশের দুই সদস্য ছুরিকাহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া পৌরসভার বারপুর (বড় কুমিড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাহত দুজন হলেন বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই জাহাঙ্গীর আলম ও কনস্টেবল মানিকুজ্জামান। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, নিশাত নামে এক বছরের সাজা পাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে বেলা ১১টার দিকে বারপুর এলাকায় যান পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও মানিকুজ্জামান। এ সময় আসামিসহ তাঁর লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং দুই পুলিশ সদস্য ছুরিকাহত হন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির প্রথম আলোকে বলেন, ছুরিকাহত পুলিশের দুই সদস্যকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁদের অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ