ভারতে সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াক্ফ আইন বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে আন্দোলন করছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। সংগঠনটি এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় কিছু সমাবেশও করেছে। কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বর্তমানে তিন দিনের শোক পালন করেছে। তবে আগামী শনিবার বিভিন্ন সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি বড় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল ল বোর্ড। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় তা মুলতবি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশ মুলতবির কথা জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। পরে নতুন তারিখ জানানো হবে।

ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড পরিচালনা করে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড। ল বোর্ডকে শনিবার সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর তরফে কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, আগামী রোববার পর্যন্ত ব্রিগেডে সেনাবাহিনীর নিজস্ব অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই এই সময়ে সেখানে অন্য কোনো পক্ষের কোনো অনুষ্ঠান বা সমাবেশ করার সুযোগ নেই।

সেনাবাহিনীর অনুমতি প্রত্যাখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ল বোর্ড। আজ মামলাটি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ওঠে। আদালতও সমাবেশ মুলতবির পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে সুবিধামতো সময়ে পরে সমাবেশ করা যাবে বলে জানিয়েছেন।

কাশ্মীরের হামলার প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বাদীদের বলেন, ‘আগামী তিন দিন ব্রিগেডে মিটিং–মিছিল বন্ধের নির্দেশ আছে। তাই আপনারা সাত দিন পরে সেখানে জমায়েত করুন।’

একই সঙ্গে কী কারণে ব্রিগেডে শনিবার সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না, তা বাদীপক্ষকে ই-মেইল মারফত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেনাবাহিনীকে বিষয়টি ল বোর্ডকে জানাতে হবে। প্রয়োজনে ল বোর্ডের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে নতুন করে মামলা করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।

এদিকে ওয়াক্ফ আইনবিরোধী অনেকগুলো মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। এই অবস্থায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ করতে দেওয়া যায় কি না, সেনাবাহিনীর তরফে কেন্দ্রের আইনজীবী সেই প্রশ্নও তুলেছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ময়দানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সমবেত হবেন বলে তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ৫০ হাজার নয়, উদ্যোক্তারা মনে করেন সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের সমস্যা হতে পারে।’

ল বোর্ডের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিভ্রান্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন। গাড়ি ভাড়া করে থাকলে তা বাতিল করবেন না। গাড়ির মালিকদের বিষয়টি জানান।’ প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ভারতের মুসলিম সমাজের নিজস্ব আইনকানুন এবং শরিয়াহ বিষয়ক আইনকানুন দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রধান বেসরকারি সংস্থা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব চ রপত ম লতব

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল 

বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।

তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড