হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ঘর দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াগড় গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি প্রতিবছর আশপাশের জমি, পুকুর ও ডোবা ইজারা দিয়ে থাকে। সমিতির তহবিলে বেশ কিছু টাকাও রয়েছে। এতদিন সমিতির ঘরের নিয়ন্ত্রণ ওই গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মেম্বারের কাছে ছিল। সম্প্রতি লতিফুর মেম্বার ও বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন তাঁকে বাধা দেন ও সমিতির হিসাব চান। এর পরই দু’পক্ষের বিরোধ জোরদার হয়। 
এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে গতকাল সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় মনু মিয়া, নিহাদ, ইসরাত, শফিক মিয়া, আবু সাঈদ, তসকির মিয়া, সাদ্দাম, মরিয়ম আক্তার, জবেদা, মাছুম, শাহিন, সাব্বির, জমিলা খাতুন, আলি নুর ও ওয়াহিদুরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 
এ বিষয়ে শাহজাহান মেম্বারের পক্ষের লোক সিরাজুল ইসলাম সেলিম সমকালকে বলেন, বহু বছর ধরে শাহজাহান মেম্বার ও আক্তার হোসেনের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি লতিফুর মেম্বার এলাকার নতুন সর্দার হওয়ার পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে থাকেন। এ নিয়ে বিরোধ চাঙ্গা হয়। 

এ ব্যাপারে লতিফুর রহমান মেম্বার বলেন, শাহজাহান মেম্বার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের করা ৯ হত্যা মামলার আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। তবুও তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে কিছুদিন আগে এলাকাবাসীকে নিয়ে মানববন্ধন করলে ক্ষিপ্ত হয় শাহজাহান বাহিনী। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ হজ হ ন ম ম ব র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন কারাগারে

রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।

বাসে হামলার এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

ওসি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজনের পরিকল্পনায় নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মামলা হয়। সেই মামলায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত রোববার (২৭ এপ্রিল) উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিআরটিসির ট্রাকের চাপায় একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

জনসংযোগ দপ্তর আরও বলেছে, হামলার ঘটনায় অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম–থানায় যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করতে অনুরোধ করেন।

আরও পড়ুনঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা২২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন কারাগারে
  • গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজে বিস্ফোরণ, দগ্ধ সীমা মারা গেলেন
  • গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ সীমা মারা গেলেন