কাশ্মীরে হামলা: কেবল সন্দেহের বশে কাশ্মীরের আরও দুই ব্যক্তির বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
Published: 26th, April 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামের অপরাধীদের ‘কল্পনাতীত শাস্তি’ দেওয়ার অঙ্গীকার ঘোষণার পর উপত্যকায় শুরু হয়ে গেছে ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘বুলডোজার নীতি’। ২২ এপ্রিলের সশস্ত্র গোষ্ঠীর গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় কুশীলবদের একজনকেও ধরতে না পারলেও জম্মু–কাশ্মীর প্রশাসন গতকাল শুক্রবার থেকে সন্দেহভাজনদের ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। শুক্রবার দুটি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর আজ শনিবারও বুলডোজার চালিয়ে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে আরও দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি।
কাশ্মীর উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর মোকাবিলায় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর এই কৌশল একেবারেই নতুন। এতকাল নানাভাবে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়েছে। সন্দেহভাজনদের আটক করে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু স্রেফ সন্দেহের বশে কারও বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়নি। বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র বা গুজরাটের ‘বুলডোজার নীতি’ এবার চালু হয়ে গেল কেন্দ্রশাসিত জম্মু–কাশ্মীরেও।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় যে দুই বাড়ি শনিবার ভেঙে দেওয়া হয়—তার একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, অন্যটি বুলডোজার চালিয়ে। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, সেই দুই বাড়ি ছিল পেহেলগামে চিহ্নিত দুই ‘জঙ্গির’।
২২ এপ্রিল পেহেলগামে নরসংহারের পর কাশ্মীর প্রশাসন যে জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল, তাদের দুজনের বাড়ি শুক্রবার ধূলিসাৎ করা হয়। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, ওই দুই অপরাধীর একজন আসিফ শেখ, অন্যজন আদিল হুসেন ঠোকর। আদিলের বাড়ি শুক্রবার দিবাগত রাতে বিস্ফোরণে উড়ে যায়। আসিফের বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়।
আজ শনিবার কুলগামে যাঁর বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর বয়ান অনুযায়ী তাঁর নাম জাকির আহমেদ গনি। সরকারের দাবি, ওই তরুণ পেহেলগামের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত না থাকলেও তিনি ছিলেন সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেপথ্য সহযোগী। পর্যটকদের ওপর হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ঘটনার পরপরই তিনি গা ঢাকা দেন।
পুলওয়ামায় বুলডোজার চালিয়ে বাড়ি ভেঙে হয়েছে আরেক সন্দেহভাজন ব্যক্তির। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, তাঁর নাম আহসান আল শেখ।
কাশ্মীরের প্রশাসন আহসান উল হক শেখের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর তাঁর স্বজনদের কান্না। ২৬ এপ্রিল, পুলওয়ামা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক রব র
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//