মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছে এক্স–ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।

এই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড উচ্চ আদালতে বহাল রাখার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলেছে, এই শুনানি শেষে রায় ঘোষণার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় রায় কার্যকর করার দাবিতে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি দেওয়া হবে।

আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এক্স–ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন এমন দাবি জানিয়েছে। ‘শহীদ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড অনতিবিলম্বে কার্যকর করার দাবি’ ব্যানারে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে এক্স–ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.

) মো. মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলমান। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনো হুমকি, প্রলোভন বা রাজনৈতিক চাপ যেন আপনাদের প্রভাবিত করতে না পারে। রায় ঘোষণার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে।’

সংগঠনটির দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘আশা করছি, চলমান শুনানি আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে এবং উচ্চ আদালত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখবেন।’

সংগঠনের সদস্যসচিব লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার অনুরোধ করেন। প্রদীপ, লিয়াকতসহ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবিও জানান তিনি।

এ মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কোনো মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুনসিনহা হত্যা: সেদিন যা ঘটেছিল৩১ জানুয়ারি ২০২২

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, মেজর (অব.) রাজিবুল হাসান, ক্যাপ্টেন (অব.) শুভ আফ্রিদি, করপোরাল (অব.) তফসীর আহমেদ, নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য সাইদ ও সাবেক সৈনিক মো. নাইমুল ইসলাম।

আরও পড়ুনআসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন চলছে২৪ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর র দ ব ল য় কত ও আপ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম দফায় বাতিল করে দেওয়ার পরও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বাড়তি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

একইসঙ্গে এ ধরনের কেনাকাটায় অতিআগ্রহের কারণ অনুসন্ধান জরুরি মনে করে এ ধরণের জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরো পড়ুন:

বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে রেকর্ড

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “একজন মন্ত্রী কোন ধরনের পরিবহন সুবিধা উপভোগ করবেন, তা দি মিনিস্টারস, মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডিপুটি মিনিস্টারস (রিমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ৬ (এ)-তে বলা আছে। আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে সার্বক্ষণিক একটি কার ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিগত সময়ে মন্ত্রীরা এবং বর্তমানে উপদেষ্টারা কার ব্যবহার করছেন। সেখানে হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইন বর্হিভূতভাবে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ব্রান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্য এতটা উদগ্রীব কেন? তা বোধগম্য নয়। সরকারকে এ জাতীয় আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করার আহ্বান জানাই।”

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, “অর্ন্তবর্তী সরকার যদি গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে কোন যুক্তিতে সরকার এ বিষয়টিকে এমন প্রাধান্য দিল। পরবর্তী সরকারের মন্ত্রী যারা হবেন, তাদের কাছে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে- এ নিশ্চয়তা সরকার কোথায় পেল! সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এ ক্রয়ের মাধ্যমে এমন স্ববিরোধী পথে সরকার কেন যাচ্ছে? এটি কি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকারের স্ববিরোধী আচরণ বলে বিবেচিত হবে না? এর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে কে বা কারা নিবেন?”

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা বিলাসবহুল অব্যবহৃত গাড়িগুলো কম দামে পাওয়া যাবে এবং বিদ্যমান গাড়িগুলো দিয়ে নির্বাচনী এলাকা সফর, জরুরি কাজ করা কষ্টসাধ্য হবে।

যে সব যুক্তি দেখানো হয়েছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, “এক শ্রেণির অতিউৎসাহী স্বার্থান্বেষী তোষণপ্রবণ আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। যা সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার যে চর্চাকে পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিব্রতকর ও আত্মঘাতী উদাহরণ। এ ধরনের অবিবেচনাবোধপ্রসূত সিদ্ধান্ত ও তোষামোদি আচরণ পরিহার করে অনতিবিলম্বে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করে বিষয়টি পরবর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য স্থগিত রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
  • ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
  • ছাত্রদলের আবেদনের পর মনোনয়নপত্র নেওয়ার সময় বাড়ল
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
  • গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হাসিবুল, জানালেন ফেসবুক পোস্টে
  • ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপসহ ৫ সুপারিশ
  • নানা আয়োজনে পিপিডিএসের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন
  • ফতুল্লায় প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকার রড নিলো প্রতারক চক্র, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩
  • ‘ডিসকর্ড’ অ্যাপে আন্দোলনের সূচনা, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতাদেরও বাছাই করছেন সেই তরুণেরা