যারা রক মিউজিকের ভক্ত, মেটালের প্রতি তাদের আগ্রহ মাত্রাতিরিক্ত। সেই মেটাল ভক্ত তরুণদের জন্য হাজির করা হলো সর্বকালের সেরা পাঁচটি মেটাল অ্যালবাম। অনলাইন অবলম্বনে হাজির করলেন ফাহমিদা রিমা
ফিস্টফুল অব মেটাল অ্যানথ্রাক্স
আমেরিকান থ্র্যাশ মেটাল ব্যান্ড ‘অ্যানথ্রাক্স’ ফর্ম করে ১৯৮১ সালে। প্রবল দাপটের সঙ্গে সক্রিয় এই ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘ফিস্টফুল অব মেটাল’ বাজারে আসে ১৯৮৪ সালের জানুয়ারিতে। অ্যালবামটিতে ট্র্যাক ছিল দশটি। এ-পিঠে ‘ডেথরাইডার’ [দৈর্ঘ্য-৩ মিনিট ১০ সেকেন্ড], ‘মেটাল থ্রেশিং ম্যাড’ [২:৩৯], “আ’ম এইটিন” [৪:০২], ‘প্যানিক’ [৩:৫৮] ও ‘সাবজুগেটর’ [৪:৩৮] এবং বি-পিঠে ‘সোলজারস অব মেটাল’ [২:৫৫], ‘ডেথ ফ্রম অ্যাবোভ’ [৫:০০], ‘অ্যানথ্রাক্স’ [৩:২৪], ‘অ্যাক্রশ দ্য রিভার’ [১:২৬] ও ‘হাউলিং ফিউরিজ’ [৩:৫৫]। লাইন-আপে : নেইল টারবিন [ভোকাল], ড্যান স্পিৎসে [লিড গিটার], স্কট ইয়ান [রিদম গিটার], ড্যানি লিংকার [বেজ] ও চালি বেনান্টে [ড্রামস]।
এইস অব স্পেডস
মোটরহেড
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সক্রিয় ইংলিশ রক ব্যান্ড ‘মোটরহেড’ ব্যাপক অবদান রেখেছে ‘নিউ ওয়েভ অব ব্রিটিশ হেভি মেটাল’ নামের রক-মুভমেন্টটিতে। তাদের চতুর্থ অ্যালবাম ‘এইস অব স্পেডস’ বাজারে আসে ১৯৮০ সালের ৮ নভেম্বর। অ্যালবামটির এ-পিঠের ট্র্যাক– ‘এইস অব স্পেডস’ [২:৪৯], ‘লাভ মি লাইক অ্যা রেপটিল’ [৩:২৩], ‘শুট ইউ ইন দ্য ব্যাক’ [২:৩৯], ‘লাইভ টু উইন’ [৩:৩৭], ‘ফাস্ট অ্যান্ড লুজ’ [৩:২৩] ও ‘[উই আর] দ্য রোড ক্রু’ [৩:১৩] এবং বি-পিঠে– ‘ফায়ার, ফায়ার’ [২:৪৪], ‘জেলবেইট’ [৩:৩৩], ‘ড্যান্স’ [২:৩৮], ‘বাইট দ্য বুলেট’ [১:৩৮], ‘দ্য চেজ ইজ বেটার দ্যান দ্য ক্যাচ’ [৪:১৮] ও ‘দ্য হামার’ [২:৪৮]। লাইন-আপ: লেমি [ভোকাল, বেজ], ফিল টেইলর [ড্রামস] ও এডি ক্লার্ক [গিটার]।
লিভিং আফটার মিডনাইট
জুডাস প্রিস্ট
ইংল্যান্ডে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ও সক্রিয় ব্যান্ড ‘জুডাস প্রিস্ট’-এর ‘দ্য বেস্ট অব জুডাস প্রিস্ট : লিভিং আফটার মিডনাইট’ অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। এর ট্র্যাক হলো– ‘দ্য গ্রিন ম্যানালিশি’ [৩:২২], ‘লিভিং আফটার মিডনাইট’ [৩:৩০], ‘ব্রেকিং দ্য ল’ [২:২১], ‘হট রকিন’ [৩:১৪], ‘হেডিং আউট টু দ্য হাইওয়ে’ [৪:৩৩], ‘দ্য হেলিঅন’ [০:৪২], ‘ইলেক্ট্রিক আই’ [৩:৩৯], ‘ইউ হ্যাভ গট অ্যানাদার থিং কামিন’ [৫:০৪], ‘টার্বু লাভার’ [৪:৩২], ‘ফ্রিহুইল বার্নিং’ [৪:২৩], ‘সাম হেডস আর গন্না রোল’ [৪:০৭], ‘মেটাল মেলডাউন’ [৪:৪৮], ‘র্যাম ইট ডাউন’ [৪:৪৯], ‘ডায়মন্ডস অ্যান্ড রাস্ট’ [৩:৩৯], ‘ভিকটিম অব চেঞ্জেস’ [৭:১১] ও ‘টাইর্যান্ট’ [৪:৪২]।
কিল ’এম অল!
মেটালিকা
১৯৮৩ সালের জুলাইয়ে মুক্তি পাওয়া ‘মেটালিকা’র অভিষেক অ্যালবাম “কিল ’এম অল!”-এর ট্র্যাকগুলো হলো– ‘হিট দ্য লাইটস’ [৪:১৬], ‘দ্য ফোর হর্সমেন’ [৭:১৩], ‘মোটরব্রিথ’ [৩:০৮], ‘জাস্ট ইন দ্য ফায়ার’ [৪:৪১], ‘[এনেস্থেসিয়া]- পুলিং টিথ’ [৪:১৫], ‘হুইপলাশ’ [৪:১০], ‘ফ্যান্টম লর্ড’ [৫:০২], ‘নো রিমার্স’ [৬:২৬], ‘সিক অ্যান্ড ডেস্ট্রয়’ [৬:৫৫] ও ‘মেটাল মিলিশিয়া’ [৫:০৯]। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ও এখনও সক্রিয় আমেরিকান ব্যান্ডটির এ অ্যালবামের লাইনআপে ছিলেন– জেমস হেটফিল্ড [লিড ভোকাল, রিদম গিটার], কার্ক হ্যামেট [লিড গিটার], ক্লিফ বার্টন [বেজ গিটার, ব্যাকিং ভোকাল], লার্স উলরিচ [ড্রামস]। অ্যালবামটি এখনও তরুণদের ঠিক একইরকম উত্তেজিত ও উদ্বেলিত করে।
আউট অব দ্য সেলার
র্যাট
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান রক ব্যান্ড ‘র্যাট’-এর অভিষেক অ্যালবাম ‘আউট অব দ্য সেলার’ বাজারে আসে ১৯৮৪ সালের মার্চে। এর ট্র্যাক হলো– ‘ওয়ান্টেড ম্যান’ [৩:৩৭], ‘ইউ আর ইন ট্রাবল’ [৩:১৬], ‘রাউন্ড অ্যান্ড রাউন্ড’ [৪:২২], ‘ইন ইওর ডিরেকশন’ [৩:৩০], ‘শি ওয়ান্টস মানি’ [৩:০৪], ‘ল্যাক অব কমিউনিকেশন’ [৩:৫২], ‘ব্যাক ফর মোর’ [৩:৪২], ‘দ্য মর্নিং আফটার’ [৩:৩০], “আ’ম ইনসান” [২:৫৪] ও ‘সিন অব দ্য ক্রাইম’ [৪:৫৪]। অ্যালবামে ব্যান্ডটির লাইন-আপ– স্টিফেন পার্সি [লিড ভোকাল], ওয়ারেন ডিমার্টিনি [লিড অ্যান্ড রিদম গিটার], রবিন ক্রসবাই [লিড অ্যান্ড রিদম গিটার], জুয়ান ক্রুসার [বেজ], ববি ব্লোৎসার [ড্রামস, পারকাশস]।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফট র
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ‘অত্যন্ত উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন ‘যথাযথ অঞ্চলে মোতায়েন’ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ওই মন্তব্য় যদি নেহাতই বোকামি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য না হয়ে, তার থেকে বেশি কিছু হয়, তাই আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছি।” খবর বিবিসির।
ট্রাম্প আরো লিখেছেন যে, “শব্দগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাবও অপ্রত্যাশিত হতে পারে। তবে আশা করি এই বিবৃতি তেমন কিছু ঘটাবে না।”
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন সামরিক প্রোটোকল মেনে দুটি সাবমেরিন কোথায় মোতায়েন করা হচ্ছে, তা তিনি বলেননি।
একদিন আগেই ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে মস্কোকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপরই প্রতিক্রিয়া দেন মেদভেদেভ।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান, তার অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের ভিত্তিতে, আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে উপযুক্ত অঞ্চলে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছি।”
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পারমাণবিক চালিত নাকি পারমাণবিক অস্ত্রধারী সাবমেরিনের মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা খোলাসা করেননি।
রাশিয়া এবং আমেরিকার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং উভয় দেশেরই পারমাণবিক সাবমেরিনের বহর রয়েছে।
শুক্রবার পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “একটি হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং আমরা এটিকে উপযুক্ত মনে করিনি। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “আমি মার্কিন জনগণের নিরাপত্তার ভিত্তিতে এটি করেছি। রাশিয়ার একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছিলেন। এবং আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করব।”
ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেনি, তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মস্কোর শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প এবং মেদভেদেভ সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তিগত আক্রমণে জড়িয়ে পড়েছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দুই দফায় নতুন করে সময় বেধে দিয়েছেন, তবে যুদ্ধ থামানোর কোনো লক্ষণ পুতিন এখনও দেখাননি।
মেদভেদেভ- যিনি ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন- এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘রাশিয়ার সঙ্গে আল্টিমেটাম খেলা’ খেলার অভিযোগ করেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মেদভেদেভ বলেছিলেন, “প্রতিটি নতুন আল্টিমেটাম একটি হুমকি এবং যুদ্ধের দিকে একটি পদক্ষেপ।”
এর আগে, তিনি জুলাইয়ের শুরুতে তিনি ট্রাম্পের আল্টিমেটামকে ‘নাটকীয়’ বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, “রাশিয়া এসবের পরোয়া করে না।”
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) টেলিগ্রামে একটি পোস্টে মেদভেদেভ ট্রাম্পকে রাশিয়ার ‘ডেড হ্যান্ড’ সম্পর্কে সতর্ক করেন। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘ডেড হ্যান্ড’ হলো রাশিয়ার প্রতিশোধমূলক পারমাণবিক হামলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কোডনাম।
এরপরই শুক্রবার ট্রাম্প মেদভেদেভের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি মেদভেদেভকে ‘রাশিয়ার ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট, নিজেকে এখনো প্রেসিডেন্ট বলে ভাবেন’ বলে কটাক্ষ করেন।
ট্রাম্প মেদভেদেভকে ‘তার কথার দিকে নজর রাখার’ বিষয়ে সতর্কও করে বলেন, “তিনি খুব বিপজ্জনক অঞ্চলে প্রবেশ করছেন!”
মেদভেদেভ ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণকে সমর্থন করেন এবং পশ্চিমাদের একজন স্পষ্ট সমালোচক।
ঢাকা/ফিরোজ