আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ৪৬ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পরীক্ষা স্থগিতের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সামনে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

এর আগে, সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্তে আসেন তারা। 

আরো পড়ুন:

প্রশ্ন ফাঁসের শাস্তি ও পিএসসি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড

চার বিসিএস নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ দূর করে সিদ্ধান্ত জানাল পিএসসি

রাজু ভাস্কর্যে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের ডাবের পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান আসিফ মাহমুদ। এ সময় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এখানে অনশনরত ও আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের প্রথম ও প্রধান দাবি ছিল ৮ তারিখের পরীক্ষা পেছানো। এ দাবির বিষয়ে আমরা গত ৫ ঘণ্টা ধরে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা শেষে পিএসসির সদস্যরাই সেটা (পরীক্ষা পেছানো) ঘোষণা করে গেছেন। আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীদের আরো যে সংস্কার দাবিগুলো রয়েছে- সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটা কমিটি হয়েছে‌ এবং আমাদের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে সেটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “সরকারের দুইটি পিএসসি করার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেকগুলো সংস্কারের চিন্তা সরকারের আছে। সেই বিষয়গুলোতে এখানকার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছিলেন, তাদের প্রতিনিধিরা উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান স্যারের সঙ্গে বসবেন। ওনাদের মতামত দিবেন। পিএসসির পর্যায়ে যে সংস্কারগুলো করা সম্ভব, সেগুলোর বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের জন্য কাজ করবেন।”

এর আগে, পিএসসি সংস্কারের দাবিতে টানা চতুর্থ দিন রাজুতে অনশন করেন আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহবাগ ব্লকেডও করেন একদল আন্দোলনকারী।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স এস প এসস ত পর ক ষ সরক র র প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ