বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন বাস্তবায়ন দরকার: তামাং
Published: 27th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের এখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং রূপান্তরমূলক নির্বাচন বাস্তবায়ন করা দরকার বলে মনে করছেন ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়া)-এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক লিনা রিক্কিলা তামাং।
কোন কোন সংস্কারের পর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে, সেসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান কর্মকাণ্ডের মধ্যে রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিনা রিক্কিলা তমাং তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎতে তাদের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিক্কিলা তামাং।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে একক প্রার্থী দেবে পাঁচ ইসলামী দল
সেখানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা এখন একটি মুক্ত, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, পাশাপাশি প্রতিনিধিত্বমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান।”
“এটি যেন বাস্তবেই রূপান্তরমূলক সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনর্গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়,” প্রত্যাশা রিক্কিলা তামাংয়ের।
সাক্ষাৎকালে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন প্রস্তুতি ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে তুলে ধরে রিক্কিলা তামাং বলেন, “আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এখনো কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন, বিশেষ করে এমন কিছু সংস্কার আছে, যেগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশনকে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর মধ্যেই কাজ করতে হয় এবং তারা আইনের বাইরে যেতে পারে না।”
“কী কী মূল বিষয় অগ্রাধিকার পাবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের ওপর, তারা কীভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে একমত হয়,” যোগ করেন তামাং।
তিনি বলেন, “আমাদের জানানো হয়েছে, আসন্ন জুলাই সনদে যা কিছু সম্মত হবে, তার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবে।”
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করে নির্বাচনের বিদ্যমান আইন পর্যালোচনার ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা তৈরি করে তার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ ও সরাসরি আলোচনা করছে জাতীয় ঐতমত্য কমিশন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি। সব কমিশনের সুপারিশমালা ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠিয়ে ৩৫টির মতামত এসেছে। তার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এরই মধ্যে ১৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা করা রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য একাংশের রাজনৈতিক দল বলছে, পুরো সংস্কার করার পর নির্বাচন দেওয়া হোক; বিএনপিসহ আরেক অংশ বলছে, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ভোট দেওয়া হোক; সেটি ডিসেম্বর বা তার আগেই হতে পারে।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আলী রীয়াজের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল আইডিইএ পরিচালকের বৈঠক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সাথে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্সের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভিত্তিক কর্মসূচির পরিচালক লীনা রিখিলা তামাংয়ের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইন্টারন্যাশনাল আইডিইএ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার গ্রেইস প্রিয়েটো উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “সংস্কার সংক্রান্ত ৫টি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানতে ইতোমধ্যে সুপারিশমালা স্প্রেডশিট আকারে তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আমরা মতামত পেয়েছি এবং তার ভিত্তিতে ২০টি দলের সাথে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী দিনগুলোতেও এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।”
আরো পড়ুন:
জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে বদলি
পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এমন একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় কমিশন, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করবে।”
বৈঠকে ইন্টারন্যাশনাল আইডিইএর পরিচালক লীনা রিখিলা তামাং কমিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি