জাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?
Published: 28th, April 2025 GMT
উন্নত গবেষণাসুবিধা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিরাপদ ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিবেশ—এসবের সমন্বয়ে জাপান এখন বিশ্বের উচ্চশিক্ষার্থীদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। প্রতিবছর বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মতো বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে পা বাড়াচ্ছেন। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান, যেখানে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনভিত্তিক বহু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র রয়েছে, যা পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করে।
জাপানে কেন পড়তে যাবেন?
জাপানের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়—মেক্সট (Ministry of Education, Culture, Sports, Science and Technology–এর সংক্ষিপ্ত রূপ ‘মেক্সট’–MEXT)–এর অধীন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বহু আগেই স্থান করে নিয়েছে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তালিকায়। উদাহরণস্বরূপ—
-ইউনিভার্সিটি অব টোকিও—২৮তম
-কিয়োটো ইউনিভার্সিটি—৪৬তম
-ওসাকা ইউনিভার্সিটি—৮০তম
-টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি—৯১তম
বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচনের কৌশল
জাপানে বর্তমানে ৭০০-এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—
-৮৭টি ন্যাশনাল
-৯৭টি পাবলিক
-৬০০+ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার সময় যেসব বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে—
-বিশ্ব র্যাঙ্কিং ও স্বীকৃতি
-গবেষণার সুযোগ
-শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত
-কোর্সের বিষয়বস্তু
-স্কলারশিপ–সুবিধা
আরও পড়ুনইন্দোনেশিয়ার আইপিএস বৃত্তি, সুযোগ স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে২৪ এপ্রিল ২০২৫প্রথম আলো ফাইল ছবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।