জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে শহীদ পরিবারসহ নানা মহলে অসন্তোষ রয়েছে। অথচ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক পদে এক মাসের বেশি সময় ধরে কেউ নেই।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় সমন্বয়ক নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সমন্বয়কের কাজ হলো তদন্ত সংস্থার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করা। ট্রাইব্যুনালের বিদ্যমান কার্যবিধি অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য ‘নীতিগতভাবে দায়ী’ তদন্ত সংস্থা। আইনে বলা আছে, তদন্ত সংস্থাকে দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য অন্য যেকোনো কাজ সম্পন্ন করাও সমন্বয়কের দায়িত্ব।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত তদন্ত সংস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো তদন্তের জন্য সমন্বয়ক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো.

মাজহারুল হককে। তিনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি)।

আমাদের কাছে যখন তদন্ত সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদন দেবে, সেটার পর থেকে চিফ প্রসিকিউটরের কাজ শুরু হবে। তদন্ত করার কাজটা কমপ্লিটলি (সম্পূর্ণভাবে) তদন্ত সংস্থার ওপর। সে কারণে তদন্ত সংস্থা রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত চিফ প্রসিকিউটর তাড়াতাড়ি করে মামলা হেয়ারিং (শুনানি) করতে পারেন নাট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

নিয়োগের প্রায় পাঁচ মাসের মাথায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মাজহারুল হককে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পদায়ন করা হয়। তবে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে প্রক্রিয়াগত ভুল ছিল। তবে তখন থেকেই ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ‘ছাড়ার প্রস্তুতি’ শুরু করেন তিনি। প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে পুনরায় আদেশ জারি করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে তদন্ত সংস্থার প্রধান (সমন্বয়ক) হিসেবে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া। —রবিউল আউয়াল সাধারণ সম্পাদক ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’

মাজহারুল হক ২৪ এপ্রিল প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৯ মার্চ সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়। এর পরের দিনই তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন মাজহারুল হক।

তদন্তের অগ্রগতিতে অসন্তোষ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যা, গণহত্যা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হচ্ছে।

বিচারের অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশসহ বেশ কিছু দাবিতে গত ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনালের সামনে বিক্ষোভ করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এর পরদিন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে যখন তদন্ত সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদন দেবে, সেটার পর থেকে চিফ প্রসিকিউটরের কাজ শুরু হবে। তদন্ত করার কাজটা কমপ্লিটলি (সম্পূর্ণভাবে) তদন্ত সংস্থার ওপর। সে কারণে তদন্ত সংস্থা রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত চিফ প্রসিকিউটর তাড়াতাড়ি করে মামলা হেয়ারিং (শুনানি) করতে পারেন না।’

বিচারের ধীরগতি নিয়ে শহীদ পরিবারের স্বজনেরা গত আট মাসে সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন, এখনো করছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আট মাসের বেশি সময় পর তদন্ত সংস্থা প্রথম কোনো মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয় ২০ এপ্রিল। এ মামলার তদন্ত শেষ করতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সময় লেগেছে ৬ মাস ১৩ দিন। রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ছয়জনকে গণহত্যার (৫ আগস্টের ঘটনা) ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। এই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আকারে দাখিলের জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে এক মাস সময় নিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। আগামী ২৫ মে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে এবং ট্রাইব্যুনালে তা গ্রহণ করলে এই মামলার মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।

তদন্ত সংস্থায় সমন্বয়ক পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবটি প্রক্রিয়াধীন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক পদে নিয়োগ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এখন থেকে এই কাজটি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

যা বলছে প্রসিকিউশন

গণ-অভ্যুত্থানের পর যখন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়, তখন তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ১০ জন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এখন ২৫ জন তদন্ত কর্মকর্তা রয়েছেন।

তদন্ত সংস্থায় সহসমন্বয়ক হিসেবে আছেন মুহম্মদ শহীদুল্যাহ চৌধুরী। উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন ছয়জন। সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন তিনজন। ১৫ জন আছেন উপসহকারী পরিচালক হিসেবে।

তদন্ত সংস্থার তদন্ত কার্যক্রম দেখভাল করে থাকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের মধ্যে তদন্ত সংস্থায় সমন্বয়ক না থাকা নিয়ে দুই ধরনের মতামত পাওয়া যাচ্ছে। একটি পক্ষ বলছে, সমন্বয়ক না থাকায় তদন্ত কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আরেকটি পক্ষ বলছে, সমন্বয়ক না থাকলেও খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।

নাম না প্রকাশের শর্তে একজন প্রসিকিউটর প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কার্যক্রমে মূলত তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। সমন্বয়ক না থাকায় সহসমন্বয়কের ওপর বেশি চাপ পড়ছে। তা ছাড়া প্রধান (সমন্বয়ক) না থাকলে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স (ভারসাম্য) কম থাকে। আগে যেখানে দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন, এখন সেই সুযোগ থাকছে না।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীমের দাবি, তদন্ত সংস্থায় সমন্বয়ক না থাকলেও তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। তবে তিনি বলেন, সরকার যদি শিগগিরই সমন্বয়ক পদে কাউকে নিয়োগ দেয়, তাহলে কাজের ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে করা বিভিন্ন মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। বিচারের ধীরগতি নিয়ে শহীদ পরিবারের স্বজনেরা গত আট মাসে সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন, এখনো করছেন। বিভিন্ন সংগঠনও বিচার দৃশ্যমান করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। যেমন ২১ এপ্রিল আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স, অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিরা।

দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে উল্লেখ করে ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এই গণহত্যার বিচার এখনো শুরু হয়নি।’

শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংগঠন ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’। এর সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল। তাঁর ছোট ভাই ইমাম হাসান ভূঁইয়া (তাইম) গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় যাত্রাবাড়ীর কাজলা পদচারী-সেতুর কাছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।

রবিউল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেখানে দীর্ঘদিন সমন্বয়ক নেই। এতে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দলনেতা ছাড়া কোনো কাজই সম্পূর্ণ হয় না। যিনি প্রধান, তাঁর কাজ অন্য কেউই সেভাবে করতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে তদন্ত সংস্থার প্রধান (সমন্বয়ক) হিসেবে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত স স থ র স ম নবত ব র ধ প রথম আল ক সমন বয়ক ন কর মকর ত তদন ত কর ন মন ত র ন তদন ত অপর ধ র তদন ত র অসন ত ষ গণহত য র জন য র প রস অন য য় র সমন

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ