আনচেলত্তিকে বেতনসহ সসম্মানে বিদায় দেবে রিয়াল
Published: 28th, April 2025 GMT
মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদের চাকরি হারাচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি। ২৫ মে রিয়ালের লিগ মৌসুম শেষ হবে। এরপরই দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে ক্লাব ছাড়বেন ইতালিয়ান কোচ ডন কার্লো। তার পরবর্তী গন্তব্য হতে যাচ্ছে ব্রাজিলের ডাগ আউট। সংবাদ মাধ্যম রেলেভো এমনই দাবি করেছে।
ইউরোপের ফুটবলে মৌসুম ধরা হয় এক জুন থেকে অন্য জুন মাস পর্যন্ত। রিয়াল মাদ্রিদ তাকে মৌসুমে ১১ মিলিয়ন ইউরো বেতন দেয়। মে’র শেষে আনচেলত্তি চাকরি ছাড়লেও পুরো মৌসুমের বেতন পাবেন তিনি। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ তাকে রিয়াল মাদ্রিদের একজন শুভেচ্ছাদূত মনে করেন। সেভাবেই তাকে সসম্মানে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ করে দিতে চান।
সংবাদ মাধ্যম রেলেভো দাবি করেছে, ব্রাজিলের কোচ হওয়ার প্রশ্নে দুই পক্ষের আলাপ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ৪ ও ৯ জুনের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সেলেসাওদের ডাগ আউটে দেখা যাবে ডন কার্লোকে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি কোন কিছুই।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, জুনের আগে জাতীয় দলের পরবর্তী কোচের নাম ঘোষণা করতে চায় তারা। রিয়াল মাদ্রিদে কার্লো আনচেলত্তির অবস্থা নড়বড়ে হওয়ায় অপেক্ষা করেছে সিবিএফ। তাই বলে কোন ভাবেই ক্লাব বিশ্বকাপ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না তারা। আগামী জুন-জুলাইয়ে হবে ক্লাব বিশ্বকাপ।
আগামী দুই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য ১৮ মে দল ঘোষণা করতে হবে ব্রাজিলের। সিবিএফ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দল ঘোষণা করতে চায় বলে দাবি করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। তবে দল ঘোষণা সম্পর্কিত আলোচনায় নাকি যুক্ত থাকবেন আনচেলত্তি। স্কাই স্পোর্টস অবশ্য দাবি করেছে, আগামী এল ক্লাসিকোর পরই মাদ্রিদ ছাড়বেন ডন কার্লো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।