পাবনার ঈশ্বরদীতে বাদশা হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার উমিরপুর এলাকায় রেললাইনের পাশে তার শরীর থেকে মাথাবিচ্ছিন্ন মরদেহ পাওয়া যায়।

বাদশা উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন প্রামাণিকের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) রোডের ‘মিঠুন স্টোর’ এর মালিক ছিলেন। পাশাপাশি জমি বেচাকেনায় সহযোগিতা করতেন। 

নিহত বাদশার ছেলে মিঠুন হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবার মোবাইল ফোনে কেউ একজন কল করেন। কল করে বলা হয়, জমি বেচাকেনার টাকা নিয়ে কথা বলতে সাঁড়াগোপালপুর বকশিরচক তালতলা মোড়ে যেতে বলেন ওই ব্যক্তি। কল পেয়ে বাবা বাড়ি থেকে ইজিবাইকে রওনা দেন। কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে কল করে বাবা জানান, কয়েকজন লোক আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এর পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’

জানা গেছে, এ ঘটনার পরপরই বাদশার পরিবারের সদস্যরা ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান। থানা থেকে ফেরার পথে লোকমুখে উমিরপুর এলাকায় রেললাইনের একটি লাশ পড়ে আছে বলে খবর পায়। পরে সেখানে গিয়ে বাদশার মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ দেখতে পান স্বজনরা। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা, রেলওয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রেললাইনের পাশে আলাদা আলাদা স্থানে পড়ে থাকা মাথা ও দেহ উদ্ধার করে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ রেললাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে। বিধায় ঘটনাটি তদন্ত করবে রেলওয়ে পুলিশ। 

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ