ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিপিবি নেতার সৌজন্য সাক্ষাৎ
Published: 30th, April 2025 GMT
ভিয়েতনাম সরকারের আমন্ত্রণে দেশটির রাষ্ট্রপতি তো লামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা।
দক্ষিণ ভিয়েতনামের স্বাধীনতা এবং দেশটির জাতীয় ঐক্য দিবসের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির হো চি মিন সিটিতে ২৯-৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দেন সিপিবির সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকসহ দেশটির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনাম সরকারের আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের প্রতিনিধিগণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভিয়েতনামের সরকার এবং ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান উদযাপিত হচ্ছে। সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি এবং ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড তো লাম অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানের ঘোষণায় বলা হয়েছে, সাম্রাজ্যবাদ এবং নয়া উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির এ আয়োজন এক শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে। সেটি হলো, এশিয়ার নিপীড়িত জনগণ আজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত। আগ্রাসন, যুদ্ধ এবং সহিংসতা আজ সাধারণ জনগণের প্রতিরোধে সম্মুখীন। এ সংগ্রামে জনগণের জয় অবধারিত।
ঢাকা/সুমি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র র ষ ট রপত অন ষ ঠ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করবে বলে আশা করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
লন্ডনে দুই নেতার বৈঠকের বিস্তারিত সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করারও আহ্বান জানিয়েছেন সাইফুল হক।
সরকারের এই উদ্যোগ বিলম্বিত বোধদয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, আরও আগে সরকারের এই বোধদয় হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিরোধ এড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মৌলিক কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যেত।
সব অংশীজনকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের রাস্তা সুগম হলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে তাঁর দল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আপসহীন ধারায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সমাবেশে সংহতি জানান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুর নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মীর, রেজাউল আলম, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মো. সালাউদ্দীন, মিজারুল রহমান ডালিম, আরিফুল ইসলামসহ পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতারা।