ইসির বক্তব্য একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে
Published: 1st, May 2025 GMT
দেশের চলমান সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে শ্রমিকসহ সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে সংস্কার নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছি, ইসি কিছু বিষয়ে দ্বিমত জানাচ্ছে; ইসির বক্তব্য একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তারা একটি বিশেষ দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার আয়োজন করছে বলে মনে হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে ‘মে দিবসের আহ্বান ও ২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানের প্রেরণায়: নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে শ্রমিকের ন্যায্য হিস্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন সারোয়ার তুষার। এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলের শ্রমিক উইং।
নির্বাচনের আগে ইসি পুনর্গঠন এবং ইসি সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে সারোয়ার তুষার বলেন, সংশয় তৈরি হয়েছে যে এই ইসি আসলে কার ইসি, এই ইসি আসলে কী চায়। এই ইসি দ্বারা আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে কি না, প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যে আইন, যে বিধান দ্বারা এই ইসি পরিচালিত হয়, এই বিদ্যমান আইন এবং এই বিদ্যমান বিধানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলে আগামী নির্বাচনের আগেই ইসির সংস্কার করাটা সবচেয়ে জরুরি।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, বর্তমান সমাজব্যবস্থায় শ্রমিকদের ‘দাস’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁদের কোনো স্বাধীন সত্তা নেই। তাঁদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কখনো ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিনিময়ে যে সামান্য অর্থ দেওয়া হয়, তাতে জীবনধারণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি, নাগরিকের মুক্তি, শ্রমিকের মুক্তির জন্য আমাদের সুস্পষ্টভাবে কাজ করতে হবে এবং সেটাই হবে আগামী নতুন বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মুক্তি এবং নতুন বন্দোবস্ত।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ চলমান সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সংস্কারের মাধ্যমে শুধু কোনো একক দল যেন সুবিধা না পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের প্রতিটি স্তর বঞ্চিত হয়েছি। ৪৭–পরবর্তী সময়ে বঞ্চিত হয়েছি। ৭১–পরবর্তী সময়ে বঞ্চিত হয়েছি। ৯০–পরবর্তী সময়ে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। সর্বশেষ আমরা ২০২৪–এ এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের দায় রয়েছে।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দেশের পোশাক খাতে একটি মালিকবান্ধব ব্যবস্থা দাঁড় করানো হয়েছে। এখানে শ্রমিকদের শোষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, অচিরেই এ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। শ্রমিক অঞ্চল থেকে বিপ্লব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি শ্রমিকদের বিদ্যমান এ অবস্থায় রাখতে চায় না। বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এনসিপি শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে এবং তাদের পাশে থাকবে।
এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের সংগঠক রহমতউল্লা রবিন নিহালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রিয়াজ মোর্শেদ, দলের শ্রমিক উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়ক শাহ আলম, আল আমিন, সজিব ওয়াফি, আবু আবদুল্লাহ, সদস্য ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমন বয়ক এনস প র ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।