বন্দরে চালককে বেঁধে পিকআপ ভ্যান ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২
Published: 2nd, May 2025 GMT
বন্দরে চালককে বেঁধে একটি পিকআপ ভ্যান ছিনতাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ লা মে) রাতে বন্দর উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের জাঙ্গাল মালিবাগস্থ এস এইচ ক্যাসেল রিসোর্টের সামনে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মদনপুর ইউপির দেওয়ানবাগ এলাকা মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুব আলম শিশির (৩২),মদনপুর কলাবাড়ি এলাকা মোসলেম মিয়ার ছেলে রাকিব(২৬)। ওই সময় ইমন ওরফে সুমন (৩২) নামে আরো এক ডাকাত কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পিকআপ ভ্যান মালিক আবু হানিফ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, পিকআপ ভ্যানের মালিক আবু হানিফ তার চালক শহিদুল ইসলামকে গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম মিয়া পুর থেকে পিকআপ ভ্যানে বাসা বাড়ির মালামাল তুলে নারায়নগঞ্জ বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
রাত ৪ টার দিকে ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কের মালিবাগ এলাকায় এসএইচ ক্যাসেল রিসোর্টের সামনে পৌঁছালে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গাড়ি গতিরোধ করে। এসময় চালককে মারধরের পর তার হাত পা বেঁধে রাস্তায় ফেলে দিয়ে নগদ সাড়ে ৯ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট পিকআপ নিয়ে যায় ডাকাত দল।
পরে জিপিএসের মাধ্যমে পিক-আপের লোকেশন সনাক্ত করে বন্দর পুলিশের সয়হাতায় বন্দরের কুশিয়ারা এলাকা থেকে পিকআপ সহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার করেছেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের ইমন ওরফে সুমন নামে এক ডাকাত পালিয়ে যায়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই চ লক প কআপ ভ য ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী